আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার শ্বশুর শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি তার শাশুড়ি ও ভাশুর জানলেও তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালান।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে শিশুটির মা বড় মেয়ে ও বাবাকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। দুপুর ৩টার দিকে মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) এর ক/ ৩০ ধারায় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে, যারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
ঘটনার বিবরণ
চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর হিটু শেখ বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, যা পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন।
১ মার্চ আট বছরের শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ মার্চ রাতে খাবার খেয়ে শিশুটি বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন জেগে দেখেন, শিশুটি পাশে নেই এবং মেঝেতে পড়ে আছে। শিশুটি জানান, তার যৌনাঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া হচ্ছে। সকালে আবার একই কথা বললে, সে জানায়, দুলাভাই দরজা খুলে দিলে তার শ্বশুর মুখ চেপে ধরে তাকে নিজের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এবং চিৎকার করতে গেলে গলা চেপে ধরেন। পরে তাকে কক্ষের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়।
পরবর্তী ঘটনা
শিশুটির বড় বোন বিষয়টি মাকে জানাতে গেলে স্বামী তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর করেন এবং কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেন। এরপর দুই বোনকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকালে এক প্রতিবেশী এলে ভাশুর দরজা খুলে দেয় এবং শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হলে শাশুড়ি প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকদের জানান যে শিশুটিকে ‘জিনে ধরেছে’। চিকিৎসক ও অন্যান্যরা সন্দেহ করলে শাশুড়ি পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে গিয়ে পুরো ঘটনা জানতে পারেন।
আরো পড়ুন-আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
শিশুটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং শুক্রবার রাতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হলে বিকেল ৫টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো- শিশুটির ভগ্নীপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগম (৪০)। তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং মামলার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে নতুন করে 'সুখবর' দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বিএনপির ২৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের ইঙ্গিত!
- মোবাইলেই লাইভ দেখুন: বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ
- নগদ অ্যাপে 'প্লে প্রোটেক্ট' সতর্কতা; যা জানাল কর্তৃপক্ষ
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- প্রথমার্ধের খেলা শেষ; বাংলাদেশ বনাম নেপাল, সরাসরি দেখুন এখানে
- আসছে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা এবং যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত বেতন গ্রেড
- আজ রাতে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা, যেভাবে দেখবেন
- সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ বনাম নেপাল: সরাসরি যেভাবে দেখবেন
- হামজার জোড়া গোলেও নেপালের কাছে জয় হাতছাড়া বাংলাদেশের
- সরকারি কর্মীদের জন্য বড় নির্দেশনা
- নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের খসড়া কাঠামো তৈরি করবে সরকার
- অবশেষে নতুন পে-স্কেল নিয়ে 'সুখবর'
- শনিবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
