বাংলাদেশ হলো হাতছাড়া! উ'ত্তা'ল মনিপুর সেভেন সিস্টার্সের কি হবে

আমরা ভারতকে যে দিয়েছি সেটা ভারত সারা জীবন মনে রাখবে। ভারতের মতো বন্ধু থাকলে শত্রুর প্রয়োজন হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে জোরালো হয়ে উঠছে জনসাধারণের মাঝে। প্রচলিত এই ধারণা গত দেড় দশক ধরে স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার পেছনে ছিল নয়াদিল্লির একচেটিয়া সমর্থন অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর সংঘাত সহিংসতায় বিপর্যস্ত সেভেন সিস্টার্সের বিভিন্ন রাজ্য সহ ভারতের নানা অংশ নিজের ঘর সামলাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো পড়শি রাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে রয়েছে দিল্লির প্রতি আগ্রহ। অন্য দেশের সরকারের প্রভাব বিস্তার করতে পারলে কী লাভ ভারতের?
বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল শেখ হাসিনা সরকার। হাসিনা আকস্মিক পতনের মধ্য দিয়ে সামনে এসেছে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা। সবসময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে নিজের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে ভারত। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এসে একটি রাজনৈতিক দলকে ভোটে অংশ নিতে বলেছিলেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। গত এক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা চালিয়েছে দিল্লি।
নেপালের সংবিধান পছন্দ না হওয়ায় দেশটিকে ফেলেছে অবরোধের মুখে। ভারতের ভূমিকায় সবচেয়ে বেশি লাভ ক্ষতির শিকার হয় ভূখণ্ড। কত ভাবে নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকার রাজনীতিতে দিল্লি কী ভাবে আর কতটা নাক গলিয়েছে সেটা নিয়ে হয়েছে বেশুমার তর্ক বিতর্ক। এখনও চালু আছে সেই আলোচনা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় আকার অর্থনীতি, জনসংখ্যা বা সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকায় এক ধরনের আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখাতে আগ্রহী ভারত।
তবে বর্তমান বিশ্বের জটিল পররাষ্ট্র সম্পর্কে এমন মলিপোনা খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের ছিলেন একজন চিনপন্থী নেতা। ২০১৫ সালে বিরোধীদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে তাঁকে হারানোর ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছিল ভারত। দিল্লির সহায়তা ছাড়া মৈত্রীপালা সিরিসেনার পক্ষে ক্ষমতায় আসা হত খুবই কঠিন। ভারতের বহু পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন, দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দমনে হাসিনা সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে আওয়ামী লীগকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিল দিল্লি।
হাসিনার লজ্জাজনক পতন থামিয়ে দিয়েছে পুরোনো মিত্র তার গতগত কয়েক বছর ধরে অবনতি হচ্ছে। নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রায় সবসময়ই পাকিস্তানের সঙ্গে দেখিয়েছে প্রকাশ্য শত্রুতা পানি বন্টন, সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে চিনের সঙ্গেও আছে মতবিরোধ কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নেপালের মতো বন্ধু রাষ্ট্র। সব মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় একঘরে হয়ে আছে ভারত। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের সাথে যেভাবে একতরফা লাভের রাজনীতি করে গেছে দিল্লি ভবিষ্যতে সেটা।আগের মতো সহজ হবে না বলেই মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- আবারও ইসরায়েলে হামলা
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পারে বিকট শব্দ, যা জানা গেল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল