সাকিব-বিসিবি দ্বৈরথ্যের শেষ কোথায়

এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে বিসিবির কার্যকলাপে প্রশ্নের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তবে সাকিবের মতো রোল মডেল যখন সংবাদ মাধ্যমের সামনে খোলামেলা বিসিবিকে অপমান করে সেটি দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। একমাত্র সাকিবের খবরই বিশ্ব মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে।
সেই সাকিবই যখন দেশের ক্রিকেট সিস্টেমকে সম্মান করে না তখন বিশ্ববাসীর কাছে সম্মান আশা করা নিছক বোকামি বটে। তাই হয়তো কিছু কথা জেনেও না বলাটাই শ্রেয়, কিংবা মিডিয়ার সামনে এই কথাগুলো বলে আদৌ কি বিসিবিকে কোনোভাবে সাহায্য করা সম্ভব? বরং বিসিবির সাথে বসে কথা বললেই সাকিবের পক্ষে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি সাকিব আল হাসান বলেই তার কথাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথেই বিবেচনা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তবে সাকিব কারো ধার ধারে না একথা কমবেশি আমরা সবাই জানি, সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে নিজ উদ্যোগে তিনি কখনোই বিসিবির সাথে আলোচনায় বসবেন না। বিপিএল শুরু হওয়ার আগ থেকেই বিপিএল নিয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। পাল্টাপাল্টি কথার জোরে একসময় বোর্ড সভাপতি হলে তিনি সব পাল্টে দিবেন এমনটিও দাবি করে বসেন এই ক্রিকেটার।
হয়তো নিছক মজার ছলেই কথাগুলো বলেছিলেন সাকিব। তবে ভুলে গেলে চলবে না তিনি এখন আর সাধারণ কেউ নন তিনি একজন আদর্শ। হাজারো তরুন সাকিবকে নিজের আইডল মনে করেন। ফলে এভাবে প্রটোকল ভেঙে মন মতো কথা বলা কখনোই সাকিবের মাপের একজনের সাথে মানানসই নয়। অপরদিকে বিসিবিও নিজেদের কাজে একের পর এক খুৎ রেখে সবাইকে সমালোচনার সুযোগ করে দেয়।
২০১৫ থেকে ১৮ পর্যন্ত বেশ জমজমাট হচ্ছিল বিপিএলের আসরগুলো। আইপিএল এর পর দ্বিতীয় সেরা লীগ সে সময়কার বিপিএলকে অনায়াসেই বলা যেত। আইপিএল খেলা প্রায় সকল ক্রিকেটারই সে সময় মাতিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিপিএল হয়ে গিয়েছিল কোটি কোটি টাকার বাজার, মোটামুটি সে সময়কার সব ফ্রাঞ্চাইজি গুলোই আর্থিকভাবে লাভবান হয়। তবে ফ্রাঞ্চাইজি গুলোর সাথে লম্বা সময়ের জন্য চুক্তি না করেই বিপত্তিটা ঘটায় বিসিবি।
ফলে আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং দূরদর্শিতা সম্পর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে নতুন এবং আনকোরা ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের হাতে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে বিপিএলের সৌন্দর্য। অনেক ফ্রাঞ্চাইজি মালিকিই আর্থিকভাবে যথেষ্ট সচ্ছল না হওয়ায় বিশ্ব সেরা ক্রিকেটারদের আনতে ব্যর্থ হয়। ফলশ্রুতিতে বিপিএল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাজ কমা শুরু করে।
এভাবেই ধীরে ধীরে বিপিএলের বাজার নিজ হাতে ধ্বংস করেছে বিসিবি। এছাড়াও বিপিএলের প্রায় এগারো বছর পর শুরু হওয়া সাউথ আফ্রিকান লীগ এবং আরব আমিরাতের লিগে ডিআরএস থাকলেও ডিআরএস থাকছে না বিপিএলে। ফলে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা দেখিয়েছে বিসিবি।
ফলে বলাই চলে বিসিবির যথেষ্ট ভুলের খেসারতই বর্তমান সময়ের এ বিপিএল। স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের মতো বিশ্বসেরার জন্য নিজ দেশের ফ্রাঞ্চাইজি লীগের মান এভাবে পড়তে দেখা কষ্টকর। এক্ষেত্রে তিনি নিজ উদ্যেগে বিসিবির সাথে বসে পরামর্শ করতে পারেন। তবে এভাবে বিসিবিকে সাহায্য করতে না পারলে কমপক্ষে বিসিবি এবং বিপিএলের ক্ষতি করাটা নিশ্চয়ই উচিত হবে না সাকিবের। কারণ সাকিবের মুখ থেকে বের হওয়া একেকটি নেতিবাচক হরফ দিনশেষে বিপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেকাংশেই কমিয়ে দেবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ: জ্যোতিষী টিয়া পাখির ভবিষ্যদ্বাণী
- এশিয়া কাপ ২০২৫ সুপার ফোর পয়েন্ট টেবিল: কোথায় বাংলাদেশ
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা এক লাফে বাড়লো
- সরকারি চাকরিতে মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, কারা কত পাচ্ছেন
- সরকারি কর্মচারীদের ছুটিতে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৫ দিন
- ব্যাংক খাতে মহাবিপর্যয়: ১২টি ব্যাংক দেউলিয়া, ১৫টি অতিমাত্রায় দুর্বল
- আজ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ফাইনাল
- এক হচ্ছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংক; যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকরা
- নিবন্ধন পাচ্ছে জাতীয় লীগসহ ৬ দল
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সারারাত ব্যাপক বৃষ্টি হবে যেসব জেলায়
- Oppo A6 Pro 5G: দাম কত ও ফিচার
- আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপকারী ব্যাক্তি পরিচয় জানা গেলো
- স্বপ্নে সাপ দেখলে বড় বিপদ; হাদিসে যা বলা আছে
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫: এক নজরে সব পুরস্কার বিজয়ী
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম