দুর্দান্ত লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিশাল সিরিজ জয়

টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের সবচেয়ে বড় অবদান ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের। কম যাননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। প্রথম ম্যাচে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে প্রবল সমালোচনার শিকার মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৯৬ বলে ৭৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
অপরাজিত থেকে ইংনিস শেষ করেন মিরাজ। রিয়াদকে নিয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনার পর, চোখ ধাঁধানো শটে দ্রুত রান তুলে সময়ের দাবি মেটান। ইংনিংসের শেষ বলে এক রান নিয়ে ৮৩ বলে পূরণ করে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।
ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতকের দেখা পেলেন মিরাজ। এর আগের শতকটি ছিল আয়ারল্যান্ডের সিমি সিংয়ের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ইনিংসটি খেলেন আইরিশ অলরাউন্ডার। শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংসকে আরও সমৃদ্ধ করে মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ২৩ বলে ৫৪ রানের জুটি।
অথচ আজ বুধবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিকের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভেঙে পড়ে টপ ও মিডল অর্ডার। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনে কোনো লাভ হয়নি। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা এনামুক হক বিজয়কে (১১) ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ।
বলের লাইন মিস করে বোল্ড হোন লিটন (৭)। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু উমরান মালিকের গতিতে উড়ে যায় তার স্টাম্প। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১২ বল ব্যবধানে ডানহাতি এই অফ স্পিনারের শিকার হন সাকিব আল হাসান (৮), মুশফিকুর রহিম (১২) এবং আফিফ হোসেন (০)।
সেখান থেকে শুরু হয় মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের সংগ্রাম। প্রথম ওয়ানডের নায়ক মিরাজ ছিলেন বেশ সাবলীল। ধীরে ধীরে দুজনে গড়ে তোলেন কার্যকর এক জুটি। এই জুটির অর্ধশতক আসে ৬৩ বলে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় অর্ধশতক তুলতে মিরাজ খেলেন ৫৫ বল। আর ৭৪ বলে আসে মাহমুদউল্লাহার অর্ধশতক। ৪৬ ওভারে ভাঙে সেই জুটি। শেষ দিকে ঝলসে নাসুম আহমেদের ব্যাটও।
ম্যাচের শুরুতে হাতের আঙুলে চোট রোহিতের পরিবর্তে ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন শিখর ধাওয়ান। ইংনিসের দ্বিতীয় ওভারে এবাদত হোসেনের শিকার হন কোহলি।
ব্যক্তিগত ৫ রানের ডানহাতি এই পেসারের বলে সরাসরি বোল্ড হন কোহিল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও বোলিংয়ে এসে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।
পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন শিখর ধাওয়ান (৫)। এই ম্যাচেও একই কীর্তি গড়েন তিনি। তার প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর (১১)। মিরাজের এলবির ফাঁদে পড়েন লোকেশ রাহুল।
তবে শ্রেয়াস আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরেছে ভারত। এরই মধ্যে ১০৭ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার। আইয়ারকে (৮২) ফিরিয়ে ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। আর অক্ষরকে (৫৬) সাজঘরের পথ দেখান এবাদত হোসেন।
শেষ দিকে ভারতের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিলেন নয়ে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ৪৭ ওভারে মোস্তাফিজের মেডেন ওভারে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে সফরকারিরা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- কপালে কালো দাগ হওয়া কিসের লক্ষণ
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ আমিরাতি ভাড়াটে সেনা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মমতা
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- স্টোকের এক মাস আগে শরীর যে ৫ লক্ষণ দেখায়
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!