চিলির পৌষ মাস, ইকুয়েডরের সর্বনাস

যাইহোক, গত জুনে ফিফা কাস্তিলোকে ইকুয়েডরের নাগরিক ও খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ফলস্বরূপ, চিলির আবেদন ভিত্তিহীন এবং ইকুয়েডরের বিশ্বকাপ খেলতে আর কোন বাধা নেই। কিন্তু নতুন তদন্তে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে, ইকুয়েডর এখন বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এবার যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকার প্রতিবেদনে এর জোরালো প্রমাণ উঠে এসেছে। তারা দাবি করে যে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন কাস্টিলোকে তাদের দলে খেলার জন্য সত্য ধামাচাপা দিয়েছে এবং তারা তাকে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অবৈধভাবে খেলেছে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে সেরা চারে থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর। এই বাছাইয়ে মোট আটটি ম্যাচ খেলেছেন কাস্তিলো। কিন্তু তিনি কলম্বিয়ার নাগরিক হওয়ার পরেও সনদ জালিয়াতি করে ইকুয়েডরের হয়ে খেলেছেন বলে অভিযোগ করে আসছে চিলি।
এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বাছাইয়ে সাত নম্বরে থেকে শেষ করা চিলিই পেয়ে যেতো বিশ্বকাপের টিকিট। কেননা কাস্তিলোর খেলা আট ম্যাচের সবগুলোতে পয়েন্ট পেতো প্রতিপক্ষ দল। যা এগিয়ে দিতো চিলিকে। কিন্তু জুনে চিলির আবেদন নাকচ করে রায় দিয়েছিল ফিফা।
এখন সেই তদন্ত চলাকালে বায়রন কাস্তিয়ার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের অডিও হাতে পেয়েছে ডেইলি মেইল। যেখানে স্পষ্টত জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। কলম্বিয়ার নাগরিক হওয়ার পরেও কীভাবে ইকুয়েডরের হয়ে খেলছেন এবং এজন্য কী কী করতে হয়েছে সবই স্বীকার করেছেন কাস্তিলো।
তার দেওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
> কাস্তিলো জানিয়েছেন, তার জন্মসাল ১৯৯৫; কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে তার জন্ম ১৯৯৮ সালে।
> কাস্তিলোর কলম্বিয়ান জন্ম সনদে নাম দেওয়া রয়েছে বায়রন হাভিয়ের কাস্তিলো সেগুরা। কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে নাম বায়রন ডেভিড কাস্তিলো সেগুরা।
> ফুটবল ক্যারিয়ার গড়তে কলম্বিয়ার টুমাকো ছেড়ে ইকুয়েডরের সান লরেঞ্জোয় যাওয়ার বিষয়েও অনেক কথা বলেছেন কাস্তিলো।
> ইকুয়েডরে যে ব্যবসায়ী তাকে নতুন নাম দিয়েছিলেন, তাকে চেনার কথা সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন কাস্তিলো।
কাস্তিলোর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল ২০১৫ সালে। সেবারই প্রথম ইকুয়েডরের ঘরোয়া ফুটবলে খেলেন কাস্তিলো। জাল সনদ ব্যবহার করে কাস্তিলোকে মাঠে নামানোয় তখন তার ক্লাব নর্থামেরিকাকে নিষিদ্ধ করে এবং স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটি গঠন করে কাস্তিলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে।
সেই তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছেই সবকিছু স্বীকার করেছিলেন কাস্তিলো। সেই অডিওই এখন ফিফার সামনে উপস্থাপন করবে ডেইলি মেইল। যা দেখে বৃহস্পতিবার নতুন সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ফিফা। সবকিছু বিবেচনা করে জুনে দেওয়া সিদ্ধান্ত যদি বদলাতে হয়, তাহলে বিশ্বকাপের আগে ফিফার জন্য এটি বিব্রতকর অবস্থাই হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একই ঘটনার জন্ম দিয়েছিল বলিভিয়া। প্যারাগুয়ের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ডিফেন্ডার নেলসনকে খেলিয়েছিল তারা। ফিফার নিয়মানুযায়ী নতুন দেশের হয়ে খেলার জন্য সেই দেশে কমপক্ষে পাঁচ বছর থাকতে হবে। কিন্তু চার বছর বসবাসের পরই মাঠে নেমে যাওয়ায় বলিভিয়াকে বাছাই থেকে সরিয়ে নিয়েছিল ফিফা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক