কেন চীন পাকিস্তান বাংলাদেশের হামলার ভয়ে কাপছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিল্লির ক্ষমতার কেন্দ্রে এখন বাড়ছে অস্থিরতা ও উদ্বেগ। আন্তর্জাতিক মহলে প্রভাবশালী হওয়ার প্রচেষ্টার মাঝেই ভারতকে নতুন এক কৌশলগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ফলে তৈরি হয়েছে এক নতুন কৌশলগত অক্ষ, যা ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে—“তিন ফ্রন্ট যুদ্ধ” পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।
সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনোজ চৈনান তার বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছেন, এই অক্ষ ভারতের জন্য একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি। তাঁর মতে, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কৌশলগত, আদর্শগত এবং ভূরাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যার ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডর (চিকেন নেক) অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে।
চৈনানের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীন বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি এয়ারবেস নির্মাণ করছে, যা শিলিগুড়ি করিডরের অত্যন্ত কাছাকাছি। এতে করে ভারতের উপর কৌশলগত চাপ আরও বাড়ছে। এই অঞ্চলে চীনের বাড়তি সেনা উপস্থিতি ভারতের জন্য স্পষ্ট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীন হচ্ছে এই অক্ষের মূল চালিকাশক্তি। অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে চীন যেভাবে বিস্তার ঘটাচ্ছে, তা ভারতীয় বিশ্লেষকদের চিন্তিত করে তুলেছে। চীনের ২০২৫ সালের সামরিক বাজেট ২৩ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ভারতের প্রায় তিনগুণ। চীনের হাইপারসনিক মিসাইল, উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি ও সাইবার সক্ষমতা—সব মিলিয়ে তাদের আধুনিক যুদ্ধে বিশাল অগ্রগতি রয়েছে।
চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর আওতায় বাংলাদেশের বন্দর, রেলপথ ও সড়ক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, যা ভারতীয় দৃষ্টিতে সামরিক নজরদারির ঝুঁকি তৈরি করছে।
পাকিস্তান এই অক্ষের আদর্শিক ও গোয়েন্দা সহায়তাকারী বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দাবি, পাকিস্তানের আইএসআই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যদিও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণের অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিশ্লেষকদের মধ্যে রয়েছে মতভেদ। কেউ কেউ মনে করেন, অবৈধ অভিবাসন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে, আবার কেউ বলছেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সামরিক জোট গঠনের কোনো তথ্য নেই।
তবে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ। বিশেষত চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে চীনের বিনিয়োগ ভারতের দৃষ্টিতে কৌশলগত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনোজ চৈনান এবং অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নতুন অক্ষের মোকাবেলায় ভারতের প্রয়োজন বহুমাত্রিক কৌশল। এর মধ্যে রয়েছে:- শিলিগুড়ি করিডরে সেনা উপস্থিতি জোরদার করা- উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন (রেল, সড়ক, বিমানঘাঁটি)- বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ- কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করা- পাকিস্তানঘেঁষা উগ্রবাদী নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই অক্ষ কি বাস্তব হুমকি, নাকি রাজনৈতিক রেটরিক?
বিশ্লেষকদের মতে, যদিও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ভূমিকায় সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব এই অক্ষকে ভারতীয় ভূরাজনীতির জন্য একটি গুরুতর বিষয় করে তুলছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর