বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে তিনি জাতীয় দলে অভিষেক করেন। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলের হয়ে খেলা থেকে হামজা কী ধরনের আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন?
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচ ফি নেই। ক্যাম্পে থাকলে ফুটবলাররা প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা সম্মানী পান, তবে এই টাকা কখনো কখনো সময়মতো দেওয়া হয় না। খেলোয়াড়রা জার্সি ও ট্র্যাকস্যুট পেয়ে থাকেন, তবে বুটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিজেরাই কিনতে হয়।
হামজা চৌধুরী ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ফের ম্যানচেস্টারে ফিরে যান। দীর্ঘ এই যাত্রার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাকে বিজনেস ক্লাসের টিকিট প্রদান করে। তবে অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতোই তিনি শিলং এবং গৌহাটি ভ্রমণে ইকোনমিক ক্লাসের টিকিট ব্যবহার করেন এবং সাধারণ টিম বাসে যাতায়াত করেন।
হোটেল ব্যবস্থাপনায়ও কিছুটা আলাদা চিত্র দেখা যায়। শিলংয়ে তিনি সাধারণ সিঙ্গেল রুমে ছিলেন, তবে ঢাকায় তাকে সম্মান জানিয়ে একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়েছিল।
জাতীয় দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতো হামজাও ২০ হাজার টাকা (প্রায় ২০০ ডলার) সম্মানী পেয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হামজার সফর সংক্রান্ত খরচে বিজনেস ক্লাস টিকিট এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিক খরচ মিলিয়ে আনুমানিক ৫-৬ হাজার ডলার ব্যয় হয়েছে। তবে এই খরচ বাফুফের ফান্ড থেকে অথবা তাবিথ আউয়াল নিজে বহন করেছেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, হামজা একজন অমায়িক এবং বিনয়ী মানুষ। তিনি দলীয় পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন এবং কোনো বাড়তি চাহিদা প্রকাশ করেননি। সাধারণ খেলোয়াড়দের মতোই তিনি দলের সঙ্গে সবকিছু উপভোগ করেছেন।
হামজা চৌধুরীর জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানের এই ফুটবলার মাঠে যেমন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন, তেমনি মানসিকভাবে দলকে অনুপ্রাণিত করার দিকেও তার ভূমিকা থাকবে। তবে, তার মতো খেলোয়াড়দের যথাযথ সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান না করা হলে, ভবিষ্যতে প্রবাসী ফুটবলারদের আকৃষ্ট করা কঠিন হয়ে পড়বে।
হামজার বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তবে জাতীয় দলের আর্থিক নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জাতীয় দলের জন্য এমন খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করতে হলে ফুটবলারদের যথাযথ সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার প্রয়োজন।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নতুন পে স্কেল: কার্যকর হচ্ছে ২০২৬-এর জানুয়ারি থেকেই
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- ১৫ ডিসেম্বরের আল্টিমেটামের মুখে পে-স্কেল নিয়ে নতুন দ্বন্দ্ব
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- আজকের সোনার বাজারদর: ১০ নভেম্বর ২০২৫
- হংকং সিক্সেস ফাইনাল: দুপুরে হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ, যেভাবে দেখবেন
- পে স্কেল কার্যকর কবে! জানাল কমিশন
- লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল সোনার দাম
- সরকারি ছুটি ২০২৬: ঈদ ও পূজায় ছুটি কতদিন
