আওয়ামী লীগের সদর দপ্তর এখন কলকাতার রোজডেল গার্ডেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চাঞ্চল্যকর বাস্তবতা সামনে এসেছে— দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী ও এমপি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
কলকাতার অভিজাত নিউটাউন আবাসিক এলাকার “রোজডেল গার্ডেন” নামক একটি বিলাসবহুল কমপ্লেক্সে এখন যেন পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের 'অস্থায়ী সদর দপ্তর'। দলীয় কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি এখানে বসেই ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কৌশল নির্ধারণ, সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা প্রদান ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা কলকাতায় আশ্রয় নেন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোজডেল গার্ডেনের ১১ তলায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন এবং নিচতলার আরেকটি ফ্ল্যাটে দলীয় সভা করছেন প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত।
তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার একটি বড় অংশ আসছে তাঁর পরিকল্পনা থেকেই।
এছাড়া, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও রয়েছেন কলকাতার একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে, যদিও তিনি অন্য নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে কম থাকছেন। দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাবেক উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও তাঁর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য অপু উকিল— সকলেই রয়েছেন কলকাতায়।
কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নৃণ কান্তি দাস, সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওলাদ হোসেন এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভাই টিপু।
এই নেতারা নিয়মিত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম ও সিগনালের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন। রোজডেল গার্ডেনে গড়ে তোলা হয়েছে এক প্রকার 'কমিউনিটি হাব', যেখানে ঈদ বা অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে মিলিত হচ্ছেন তারা।
এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনেক নেতা-কর্মীও কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দল পুনর্গঠনের চেষ্টা ও ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাব্য রূপরেখাও এখান থেকেই তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ অবস্থান’ বরাবরই আলোচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত সবসময় একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেয়ে এসেছে। ফলে দলটি যখন বিপদে পড়ে, তখন ভারতের সহানুভূতি বা সমর্থন পাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের জনগণ যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে, তা সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। কলকাতা থেকে পরিচালিত কোনও ‘রিমোট কন্ট্রোল রাজনীতি’ আদৌ সফল হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
রাসেল/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর