হাসিনা ইস্যুতে মোদি-ইউনূস বৈঠকে সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গ উঠেছিল, তবে এ বিষয়ে দুই দেশের অবস্থান ছিল আলাদা।
বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, "আমরা তাকে ফেরত চেয়েছি এবং বলেছি, বিচারের জন্য তাকে ফিরিয়ে আনা হোক, তবে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।"
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, "প্রত্যর্পণ ইস্যুতে ভারতের প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না।" তিনি আরও দাবি করেন, বৈঠকে মোদি বলেছিলেন, "শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল ঠিকই, তবে তখন ড. ইউনুসের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছি। তবুও ভারতের সম্মান অটুট ছিল।"
বৈঠকের পর পরই, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী এ ব্যাপারে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। বৈঠকের একদিন পর মোদি তার এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন, যেখানে শেখ হাসিনার নাম ছিল না। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, "ভারত চায় বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হোক।" পোস্টে সীমান্ত নিরাপত্তা, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র দাবি করে, "শফিকুল আলমের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চাওয়া হয়েছে।" তারা আরও জানান, "প্রত্যর্পণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা করা উচিত।"
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ২০০১ সালে সরকার পতনের পর ভারত আশ্রয় নেন এবং এরপর থেকেই তার প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। বাংলাদেশ একাধিকবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও দিল্লি তাতে সাড়া দেয়নি। এবার বিমস্টেক সম্মেলনে সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত বৈঠকে এই বিষয়টি উঠে আসে, যা দুই দেশের বিবৃতিতে দ্বিমত সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এখনও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাতে চায় না। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটিকে কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য