নতুন রূপে বাংলাদেশকে চিনবে বিশ্ব, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ এবার নতুন রূপে বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। তবে, পরিবর্তনটি কী? কী ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন আরিফ হাসান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, "বিশ্বকে আমাদের কাছে আসতে হবে, আমাদের আর বিশ্বে যেতে হবে না।" তাঁর এই উচ্চারণের বাস্তব রূপ এখন দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। এই বক্তব্যের বাস্তবতা দেখতে পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫, যা ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কেবলমাত্র বিনিয়োগ আকর্ষণের মঞ্চই নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অর্থনৈতিক রূপান্তরের সূচনা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের ২৩৩০ জন বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করছেন, যাদের মধ্যে ৫৫০ জনেরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগকারী রয়েছেন। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সিঙ্গাপুর, এবং জাপানসহ বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন।
এই সামিটের লক্ষ্য বাংলাদেশের অপ্রকাশিত বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে তুলে ধরা, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার প্রদর্শন এবং দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক বিনিয়োগ সংযোগ সৃষ্টি করা। অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম শুনলেই সম্মেলনের গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। এতে বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
৭ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার ২৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম, মিরসরাই এবং কোরিয়ান ইপিজেড পরিদর্শন করবে। একই দিনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্টার্টআপ সংযোগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ৮ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন, এবং দিনশেষে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
৯ এপ্রিল হবে সামিটের মূল অনুষ্ঠান, যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের উদ্বোধনী বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে। একই দিনে তরুণ উদ্যোক্তা এক্সপো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির নবায়নযোগ্য জ্বালানী বিষয়ক ব্রেকআউট সেশন এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। ১০ এপ্রিল বিভিন্ন ব্রেকআউট সেশন হবে, যেমন ডিজিটাল অর্থনীতি, টেক্সটাইল, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, এবং স্বাস্থ্যসেবা।
এছাড়া, এই দিনটি হবে বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল পরিবর্তনের সূচনা। স্টার্টআপ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, এবং স্মার্ট ডিজিটাল ইকোনমি নিয়ে বড় ধরনের আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন দিগন্তের দিকে প্রবাহিত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করবে স্টারলিংক, যা সামিটের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের নামকরা কর্পোরেট নেতারা, রাষ্ট্রদূতরা, এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা একত্রিত হবে।
এটি শুধু বিনিয়োগের সুযোগ নয়, বরং এটি ব্র্যান্ড বাংলাদেশ গঠনের এক বড় পদক্ষেপ হবে। এই সামিট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গল্পে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ১০ এপ্রিলের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিত্র সম্পূর্ণভাবে বদলে যাবে, যেখানে বাংলাদেশ শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশ নয়, বরং একটি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া