ভারত কেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত চিন্তিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার পতন এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় সাত মাস পর, বর্তমানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। এরই মধ্যে, নয়া দিল্লি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তাহলে, কি ভারত শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচনের দরজা খুলে দিতে চেষ্টা করছে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইশতিয়াক হোসেন।
শেখ হাসিনার দল, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সীমান্তের উত্তেজনা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের মন্তব্যের কারণে ৫ আগস্টের পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। এর পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ জনগণ। এসব ঘটনার মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের চিন্তা বাড়ছে।
ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এবং ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্যা টেলিগ্রাফ’ এই পরিস্থিতি নিয়ে দাবি করেছে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের আয়োজনের দাবি দিন দিন আরো জোরালো হয়ে উঠছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একাধিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাংলাদেশের অস্থিরতা নিরসনে একটি সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ও বৈধ নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও এবার অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আবারও মুখ খুলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। প্রথমত, ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। দ্বিতীয়ত, ভারতের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় থাকার সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়স্বাল বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, বাংলাদেশে অপরাধের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নারীজনিত অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দোটানা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি উঠছে, অন্যদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচনের দরজা খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখন মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইশতিয়াক/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত