অবশেষে ধানমন্ডির ৩২-এর ভবিষ্যত নিয়ে মুখ খুললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, তার ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের ভিত্তি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের সমস্ত প্রচারণাও মিথ্যা।"
এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আরও বলেন, "এই সরকারে মানুষের প্রতি কোনো সহানুভূতি বা ন্যূনতম দয়ার বোধ নেই। এখনও তারা মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে, হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।" তিনি বিশেষভাবে সরকারের দমন-পীড়ন ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা সম্পর্কে কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ ৩২ নম্বর বাড়ি সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, “৫ আগস্টেই ৩২ নম্বর বাড়িটি ধ্বংস করে দেওয়া উচিত ছিল, যা পরবর্তীতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।” তার মতে, এই বাড়ি একটি রাজনৈতিক ও জাতীয় দমন-পীড়নের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এবং এর ধ্বংস ঘটানো জাতির জন্য এক বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা হয়নি এবং তার প্রতীকগুলো অক্ষুণ্ন রেখে দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদ এবং গণতন্ত্রের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে না।”
এছাড়া, হাসনাত স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, এবং জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন, এবং বাংলাদেশের জনগণের শক্তি নিয়ে সতর্কবার্তা দেন দেশের শাসক শ্রেণীকে। তিনি বলেন, “আপনারা যদি সচিবালয়ে বসে ধানমন্ডি ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চান, তবে আপনাদেরও একদিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে হবে। দেশের জনগণ তাদের অধিকার আদায় করবেই, আর তখন তাদের মধ্যে যারা জনগণের পক্ষ নেবে, তারা ইতিহাসে জায়গা পাবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, "এই সময় শিক্ষা গ্রহণ করুন ধানমন্ডি ৩২ এবং গণভবনের পরিণতি থেকে। যারা জনগণের আস্থা হারিয়েছে, তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, যারা জনগণের পক্ষে দাঁড়ায়নি, তারা একদিন বিস্মৃত হয়ে যাবে।"
এ ছাড়াও, তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা রাজনীতির প্রতি আরও সচেতন এবং সক্রিয় থাকে। "তরুণরা যদি এখনই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়, তবে ভবিষ্যতে তাদের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা শর্তহীন হয়ে উঠবে,"—এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
এই বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ একদিকে যেমন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সমালোচনা করেছেন, তেমনি দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষত তরুণদেরকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন। তার বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিশেষভাবে ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিবাদের সঙ্গে জড়িত জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে