বাংলাদেশের বাজারে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে অর্ধেকেরও কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মেহেরপুর জেলার পেঁয়াজ চাষিরা। জ্বালানি তেল, সার, কীটনাশক এবং কৃষি শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ার পরও পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। উল্টো নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। বর্তমানে মেহেরপুরের বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, যা গত কয়েক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি।
এ বছর মেহেরপুর জেলার চাষিরা এক যুগ পর প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ চাষ করেছেন, কারণ গত কয়েক বছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় তারা আশা করেছিলেন ভালো লাভ হবে। তবে নতুন পেঁয়াজ উঠতেই বাজারে দাম কমে যাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফোটেনি।
চাষিদের মতে, একদিকে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, অন্যদিকে বাজারের দাম এত কম হওয়ায় তারা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পেঁয়াজ চাষে এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অথচ, প্রতি বিঘায় উৎপাদিত পেঁয়াজের পরিমাণ কম হওয়ায় এখন চাষিরা এক বড় ধাক্কা খাচ্ছেন।
মেহেরপুরের কৃষকরা বলছেন, পেঁয়াজ চাষের খরচ অনেক বেড়ে গেছে, বিশেষ করে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ ও কৃষি শ্রমিকের মজুরি খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলস্বরূপ, পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসায় তারা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চাষিরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, যেন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেশীয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবে পেঁয়াজের উৎপাদন একসঙ্গে বাজারে আসার কারণে দাম কমে গেছে। তারা আশা করছেন, কিছুদিন সংরক্ষণ করে বিক্রি করলে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়তে পারে।
চাষিরা আরও জানান, গত বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হলেও এ বছর বীজের সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ মণ হয়ে থাকে। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি করে তাদের ঘরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আসছে, যা খরচের তুলনায় অপ্রতুল।
স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, তাদের জন্য পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি বড় ধরনের বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দাবি করছেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাদের লোকসান কমানো সম্ভব হবে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, চাষিরা এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন দ্বিগুণ করেছেন, তবে দাম কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই লোকসানে পড়বেন। তারা স্থানীয় বাজার ছাড়াও বাইরের বাজার খোঁজার চেষ্টা করছেন যাতে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন না হন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০৩৫ সালে বাংলাদেশে এক ভরি সোনার দাম কত হবে