
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর নতুন ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক ; ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) বাংলাদেশে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শাহ। ২৭ ফেব্রুয়ারি তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।
এতে তিনি জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন নামে এবং নতুন পরিচয়ে প্রবেশ করা কয়েকজন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করে আসছে এবং এই উদ্দেশ্যে তারা আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করেছে, এমন অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এমনকি অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক রয়েছে।
জুলকারনাইন আরও দাবি করেন, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তিনি র এর দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা—অশোক কুমার সিনহা এবং কঞ্জক তাসিক খাম্পা—৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকায় পৌঁছান। তাদের ঢাকায় আগমনের ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় হাইকমিশন।
তিনি আরও বলেন, "এই কর্মকর্তারা ৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 227-এ ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা।" এই কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (Indian Police Service) থেকে ২০০৭ সালে অশোক এবং ২০১৩ সালে কঞ্জককে 'র'-এ ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশে তাদের আসার কারণ ছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক গঠন।
জুলকারনাইন আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে আসার পর, 'র'-এর কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনায় পূর্ণ সহযোগিতা পায়নি। বিশেষত, এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স) এবং ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্স ইনটেলিজেন্স) থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোনো বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন, এবং তারা হোটেলের কর্মীদের সাথে অবিবেচনাপূর্ণ আচরণ করতে শুরু করেন।
এছাড়া, জুলকারনাইন শাহ দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল হয়ে গেছে, এবং এর পেছনে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, সীমান্ত উত্তেজনা এবং অন্যান্য ইস্যুগুলোর প্রভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নতুন ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য কী? নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি 'র'?
এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শাহ তার মন্তব্য শেষ করেন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে