ইতিহাস সেরা সামরিক বাজেট ঘোষণা করলো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে গভীর রাতে আলো জ্বলে উঠল। নিঃশব্দ একটি কক্ষে ছড়ানো মানচিত্র, গোয়েন্দা রিপোর্ট আর কৌশলগত পরিকল্পনার ফাইলগুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক অভিজ্ঞ জেনারেল—চোখে ছিল এক অনাড়ম্বর কিন্তু দুর্দান্ত দৃঢ়তা। কারণ, আজ টেবিলে ছড়িয়ে ছিল এমন এক বাজেট পরিকল্পনা, যা কেবল অর্থের অঙ্ক নয়—এটি ছিল একটি জাতির আত্মবিশ্বাসের ঘোষণাপত্র।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রতিরক্ষা বাজেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দ
আগের ৪২ হাজার কোটি টাকার তুলনায় এবার ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ—বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক মাইলফলক। এই বাজেটের পেছনে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা অবহেলা, সীমান্ত উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এক কথায়, বাংলাদেশ জানিয়ে দিল—এখন আমরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরাই নেব।
ত্রিশক্তির পুনর্জাগরণ
সেনাবাহিনীর বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন—প্রয়োজনের তুলনায় বাজেট এতই কম যে, তিন বাহিনীর কোন শাখাই তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। বর্তমানে বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ চলে যায় বেতন, রসদ, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণে। আধুনিক অস্ত্র কেনার জন্য হাতে থাকতো মাত্র আট থেকে দশ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে যুদ্ধবিমান বা সাবমেরিন কেনা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু এবার পরিবর্তন এসেছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগ, ঋণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরকে কাজে লাগিয়ে বাজেট বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী বাদ দিয়ে সরাসরি প্রস্তুতকারক রাষ্ট্র বা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে।
আকাশের দখলে নতুন অধ্যায়
বাংলাদেশের বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে। পুরনো রুশ MiG-29 আর চীনা F-7 দিয়ে আকাশ নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়। এবার তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিমানবাহিনীর জন্য। পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চীনের J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট। এর সঙ্গে রাডার আপগ্রেড, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইউনিট গড়ার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
এই বিমানগুলো ভারতের রাফাল ও পাকিস্তানের JF-17 এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। রাশিয়া ও সাইপ্রাসের সঙ্গে লং-রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল কেনার কথাও আলোচনা চলছে।
বঙ্গোপসাগরের তীর থেকে সমুদ্রের গভীরে
নৌবাহিনীর অবস্থা আরও চ্যালেঞ্জিং। আধুনিক ডকইয়ার্ডের অভাবে যুদ্ধজাহাজ দ্রুত মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে মাত্র দুটি পুরনো চীনা সাবমেরিন রয়েছে। এবার বাজেটে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ছয়টি আধুনিক সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন এগিয়ে রয়েছে।
এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন ফ্রিগেট, করভেট, পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার। ইতালির ফিনকান্তিয়েরি এবং তুরস্কের এফটিসি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির আলোচনা চলছে।
ভূমিতে আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতি
সেনাবাহিনীতে ইতোমধ্যেই তুরস্কের TRG-300 রকেট লঞ্চার ও MK-1 হাউইটজার যুক্ত হয়েছে। এবার বাজেটে আরও যুক্ত হচ্ছে নোরা আর্টিলারি, টাইগার মিসাইল, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল, হেলিকপ্টার এবং আধুনিক ট্যাংক। আলতাই (তুরস্ক) ও হারিমাও (ইন্দোনেশিয়া) ট্যাংক কেনার কথাও আলোচনায় আছে।
প্রশিক্ষণ ও উৎপাদনে স্বনির্ভরতা
পাইলট ও সাবমেরিন অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, আজারবাইজান ও তুরস্কে পাঠানো হবে। দেশের ভেতরেই টাঙ্গাইল ও নরসিংদীতে ড্রোন ও হালকা অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে।
তুরস্কের Baykar ও Roketsan কোম্পানি প্রযুক্তি হস্তান্তরে রাজি হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদা পূরণ করেই ক্ষান্ত হবে না—দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় অস্ত্র রপ্তানিও করতে পারবে।
এই বাজেট কেবল প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তনের ছাপ পড়ছে। ভারত, যারা এক সময় বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখত, এখন এই উত্থানকে নতুন শক্তি হিসেবে দেখছে। তাদের সীমান্তে বাড়ানো হচ্ছে ড্রোন, যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রন। কিন্তু বাংলাদেশের এই বাজেট আগ্রাসনের জন্য নয়, প্রতিরক্ষার জন্য।
দুই দৃশ্য, দুই বাস্তবতা
দিল্লিতে যখন মেঘ জমছে, তখন ঢাকায় সূর্য উঠছে। ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে লেখা—বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন সামরিক শক্তি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অস্থিরতা, জনরোষের আঁচ, পুরনো স্ক্রিপ্ট আর সাজানো নাটক।
আর ঢাকায়, প্রফেসর ইউনুসের মুখে এক নিশ্চিন্ত হাসি। তার সামনে রাখা নথিতে লেখা—
২০২৫-২৬ প্রতিরক্ষা বাজেট: একটি আত্মনির্ভর বাংলাদেশের রূপরেখা।
এই বাংলাদেশ আর মাথা নিচু করে চলে না। কেউ চোখ রাঙালে চোখ তুলে তাকায়। প্রয়োজনে—চোখ উপড়ে ফেলার শক্তিও তার হাতে আছে।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার