
আয়শা সিদ্দিকা
সিনিয়র রিপোর্টার
বাংলাদেশের ভেতর দিয়েই কেন রাখাইনে করিডোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধ ও মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। তাদের মতে, সেখানে খাদ্য ও জরুরি সহায়তা পৌঁছানো এখন অতি প্রয়োজনীয়। এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারে একটি মানবিক করিডোর চালুর সম্ভাবনা দেখছে, যা নিয়ে দেশের ভেতরে চলছে ব্যাপক বিতর্ক।
জাতিসংঘের প্রস্তাব ও বাংলাদেশের অবস্থান
৩০ এপ্রিল জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুএন লুইস ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সম্মতিতে রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর জন্য একটি করিডোর চালু করা সম্ভব। এর আগে, ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছে—তবে সেটা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এবং নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের প্রশ্ন—জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী প্রক্রিয়ায় ও কী ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই?
সাংবাদিক আমিন আল রশিদ এক বিশ্লেষণে প্রশ্ন তুলেছেন—এই করিডোর কি শুধুই ত্রাণ পাঠানোর জন্য, নাকি এর আড়ালে অন্য কোনো উদ্দেশ্যও আছে? তিনি বলেন, জাতিসংঘের চাওয়ার বাইরে বাংলাদেশকেও নিজেদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি কি রয়েছে?
রাখাইনে বর্তমানে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে আরাকান আর্মি, যারা অনেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া ত্রাণ আসলেই বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছাবে, না কী সেটি আরাকান আর্মির হাতে চলে যাবে?
এই বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে বলেন, “মালপত্র যাচ্ছে, অস্ত্র না।” তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু কথায় আশ্বস্ত হওয়া যথেষ্ট নয়—দীর্ঘমেয়াদে এর রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত প্রভাব বিচার করা দরকার।
এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে না গিয়ে বাংলাদেশের সীমার মধ্যেই যতটা সম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব যাতে কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়, সে দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
জাতিসংঘ রাখাইনে ত্রাণ পাঠাতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডোর চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে এতে রাজি হলেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো ও বিশ্লেষকদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও উদ্বেগ।
আয়শা সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে