এখানেই সংঘটিত হবে কেয়ামত ও হাশরের ময়দান

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেয়ামত নিশ্চিতভাবে সংঘটিত হবে, এবং নির্ধারিত সময়ে মহান আল্লাহর আদেশে পৃথিবী এক আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাবে। গ্রহ, নক্ষত্র এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু খসে পড়বে, পৃথিবী অন্ধকারে ঢাকা পড়বে, আর আল্লাহ সুবহানাতায়ালার সৃষ্টির এই অপূর্ব পৃথিবী নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবীর বয়স যতই বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাদিসে কেয়ামতের বিভিন্ন নিদর্শন বর্ণনা করেছেন, এবং আজকাল কিছু নিদর্শন বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে, যা ইসলামী চিন্তাবিদরা প্রমাণিত মনে করছেন।
রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের নিদর্শনগুলো যতই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, ততই তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। পৃথিবী এক সময় কেয়ামত ও হাশরের মাঠে পরিণত হবে। "হাশর" অর্থ একত্র হওয়া বা সমাবেশ ঘটানো, এবং এটি হবে কেয়ামত ও মহাসংঘর্ষের স্থান।
রাসূল (সা.) এর সময়ে শাম দেশ বলতে সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন এবং ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বোঝানো হতো। ফিলিস্তিন ও তার আশপাশের অঞ্চল সম্পর্কে রাসূল (সা.) বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, কেয়ামতের পূর্বে এই অঞ্চলে মুসলিম বাহিনী বিজয়ী হবে। এটি ছিল নবী ও রাসূলদের পবিত্র ভূমি, এবং কেয়ামতের পরিণতির মহাসংঘর্ষ এখানেই ঘটবে।
ফিলিস্তিনের গুরুত্ব ইসলামের ইতিহাস ও ধর্মীয় বিশ্বাসে অপরিসীম। কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের বিশেষ মর্যাদা এবং গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে, যা প্রতিটি মুসলমানের জানা উচিত। কোরআনের সূরা ইসরায় প্রথম আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, "পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশে আমি বরকত দান করেছি।"
এছাড়াও, সূরা মায়েদার ১১ নম্বর আয়াতে ফিলিস্তিনকে "আরদে মুকাদ্দাস" বা পবিত্র ভূমি বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনে রয়েছে বহু নবী ও রাসূলের স্মৃতি। এখানে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, হযরত মারিয়াম আলাইহিস সালাম, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং আরও অনেক নবীর আগমন, জন্ম ও মৃত্যু হয়েছে।
হাদিসেও ফিলিস্তিনের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী করীম (সা.) বলেছেন, "মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদুল আকসা ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে সফর করা বৈধ নয়।" হযরত মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী (সা.) বলেন, "ফিলিস্তিন হচ্ছে হাশর ও কেয়ামতের স্থান, এটি হাশরের ময়দান, যেখানে একত্র হওয়া ঘটবে, এবং এখানে এক ওয়াক্ত সালাত অন্যান্য স্থানগুলির তুলনায় ১০০০ গুণ বেশি সওয়াবের।"
ফিলিস্তিন শুধু মুসলমানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক অঞ্চল নয়, এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফিলিস্তিনের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দিস ছিল এবং নবী (সা.) এখান থেকেই মেরাজে গমন করেছিলেন। মক্কা ও মদিনার পর, ফিলিস্তিনের আল কুদস ইসলামের তৃতীয় পবিত্র শহর। এখানে বহু নবী ও রাসূলের আগমন এবং তাদের কর্মের স্মৃতি বিজড়িত।
হাদিসে বর্ণিত আছে যে, হাশর ও কেয়ামত এখানেই সংঘটিত হবে। নবী (সা.) বলেছেন, "শেষ জামানায় বায়তুল মুকাদ্দিসের আশপাশে জিহাদ হবে, এবং সেই দল সর্বদা বিজয়ী থাকবে।"
ফিলিস্তিনের ভূমি শুধু ধর্মীয় মহিমা নয়, বরং এটি মুসলমানদের ঐতিহ্য, বিশ্বাস এবং কেয়ামতের সংকেত। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কেয়ামত ও হাশর এই পবিত্র ভূখণ্ডে ঘটবে, এবং সেখানে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
—সাঞ্জিদা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য