| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ভূমিকম্পে ঢাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ০৮ ১২:৩৮:৩৬
ভূমিকম্পে ঢাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ

বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর বর্তমানে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধুপুর ফল্ট লাইনে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানীর ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা নাগরিক সচেতনতা এবং ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

বিভিন্ন গবেষণা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ঢাকায় যদি শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ভবনের নকশাগত দুর্বলতা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেছেন, "যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তবে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হবে। পুরোনো এবং অপরিকল্পিত ভবনগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।"

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জানিয়েছেন, "ঢাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। তাই ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।"

সরকারের উদ্যোগসমূহের মধ্যে রয়েছে:

- ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোডের কঠোর বাস্তবায়ন।

- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত পুনঃনির্মাণ বা মেরামত করা।

- জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত মহড়া এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা।

- উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি বাড়ানো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্প থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন:

- বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে অনুসরণ: নতুন এবং পুরোনো ভবনের ভূমিকম্প সহনীয়তা নিশ্চিত করা।

- সচেতনতা বৃদ্ধি: ভূমিকম্পের সময় কীভাবে নিরাপদে থাকা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রচারণা চালানো।

- জরুরি উদ্ধার পরিকল্পনা: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের জন্য বিশেষ বাহিনী গঠন করা।

- সার্বক্ষণিক মনিটরিং: ভূমিকম্পের পূর্বাভাস এবং পূর্বপ্রস্তুতির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা।

সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে পড়তে পারে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ।

বর্তমানে ঢাকার ভূমিকম্প ঝুঁকি একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পরিকল্পিত নগরায়ন, আধুনিক স্থাপত্যকৌশল এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সরকারের, বিশেষজ্ঞদের এবং নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগই এই ঝুঁকি কমিয়ে একটি নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রোহিত শর্মা

আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রোহিত শর্মা

রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে জানালেন বিদায়। ইনস্টাগ্রামে ক্যাপশনের সঙ্গে দিলেন আবেগঘন বার্তা। দেখে নিন তার ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: ২০২৫ সালেআর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ সূচি

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: ২০২৫ সালেআর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা আগামী চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...