শাবান মাসে যে আমল করলে সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে

আরবি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস শাবান, যা একে “সুবর্ণ মাস” বলা হয়। এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর একটি এবং রমজানের আগের মাস হওয়ায় এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ মাসের মধ্যবর্তী সময়টি একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ রাতের জন্য পরিচিত, যা শবে বরাত নামে আখ্যায়িত।
‘শব’ ফারসি শব্দের অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ এর মানে সৌভাগ্য। আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতের বিশেষ রাত, যা বিশেষভাবে সৌভাগ্য এবং দয়া লাভের জন্য উদযাপিত হয়।
শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবেও অভিহিত করা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, "তোমরা রমজানের জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখবে" (তিরমিজী, হাদিস: ৬৮৪)। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, শাবান মাস রমজান মাসের প্রস্তুতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, শাবান মাসে সিয়াম পালন করা খুবই ফজিলতপূর্ণ, কারণ রাসুল (সা.) এই মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি সিয়াম কোনো মাসে পালন করতেন না। তিনি প্রায় পুরো শাবান মাসেই রোজা রাখতেন, এবং বলতেন, "তোমরা যতটুকু সক্ষম, ততটুকু আমল করবে। কারণ, আল্লাহ যখন তোমরা ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত সওয়াব দান বন্ধ করেন না।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৪৬)
এছাড়া, আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা কোনটি?" জবাবে নবীজি (সা.) বলেছিলেন, "রমজানের সম্মানার্থে শাবান মাসের রোজা"। এরপর আবার প্রশ্ন করা হয়, "কোন সাদকা সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ?" নবীজি (সা.) উত্তরে বলেছিলেন, "রমজান মাসের সাদকা সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ" (তিরমিজী, হাদিস: ৬৬০)।
শাবান মাসে সবচেয়ে উত্তম হলো প্রথম দিকে বেশি বেশি রোজা রাখা। এক হাদিসে এসেছে, "শাবান মাসের অর্ধাংশ চলে গেলে এরপর রোজা রাখা উচিত নয়" (তিরমিজী, হাদিস: ৭৩৬)।
শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাতের রাতটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এই রাতে নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার করা অত্যন্ত পুণ্যময় কাজ। মনে রাখতে হবে, শবে বরাতের সব আমলই নফল, তাই এগুলি একাগ্রচিত্তে এবং নিজ ঘরে শান্তিপূর্ণভাবে করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, "এই রাতে আল্লাহ দুনিয়া এবং আসমানে যা কিছু ঘটবে, তা নির্ধারণ করেন এবং বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, তবে যাদের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি নেই, তাদের জন্য দয়া নেই।" (সহিহ মুসলিম)
এই রাতে, বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যেই আল্লাহর পথে চলছেন, তাদের জন্য এই রাতটি অত্যন্ত লাভজনক। তারা আল্লাহর কাছে শাফা'আত ও দয়া কামনা করতে পারেন।
শাবান মাসের মধ্যে শবে বরাতের রাতটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত ও দয়া লাভের সুযোগ। এটি এক বিশেষ সময়, যখন সকল মুসলিম আল্লাহর কাছে নিজেদের তওবা ও ইস্তিগফার নিয়ে ফিরে আসতে পারেন, যাতে তাদের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া