ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে লুটপাট, তারপর যা হল

নোয়াখালীর কুম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় অগ্নিসংযোগসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিদায়ের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা সিরাজপুরে ওবায়দুল কাদিরের বাড়ি ও বড় রাজাপুরে কাদির মির্জার বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধ জনতা বসুরহাট পৌর কার্যালয়, মির্জা টাওয়ার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ একাধিক স্থানে একের পর এক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া বসুরট জিরো পয়েন্ট, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ভাস্কর্য ধ্বংস করে। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন ধরনের লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দেয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোতলও বিস্ফোরিত হয়। ইট-পাটকেল দিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন। তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা সদর, কবিরহাট, বেগমগঞ্জ, সদর, সেনবাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজনের বাড়িতে হামলার ঘটনা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বেলা আড়াইটার পর শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাজার হাজার মানুষ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে আনন্দ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের একটি অংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালান। হামলাকারীরা এ সময় বাড়ির ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় কিছু ব্যক্তিকে বাড়ির ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, হামলা-ভাঙচুরের অল্প কিছু সময় আগে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সপরিবার বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে চলে গেছেন।
সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি ছাড়াও বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তার ভাগনে ব্যাংক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন একদল লোক। রাত নয়টার দিকে ওই হামলার ঘটে। তারা ওই সময় বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করেন। একই সময় বাড়িতে থাকা একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেওয়া হয়। এই দুটি বাড়ি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগ নেতা দিলীপ দাস ও জাকির হোসেন হৃদয়্সহ একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগ করার কারণে আজ আমাদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। আমার মা-বাবা, ভাই-বোনের কোনো দোষ নেই। কিন্তু তাদেরও হুমকি দিয়েছে। নিজ দেশে আমরা এমন সময়ে পড়ব তা ভাবিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িতেও হামলার খবর শোনা গেছে। তবে কেউ এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!