যার আদেশে বার বার ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় সরাসরি জানাল সিম কোম্পানি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ঘোষণা করেন যে সন্ত্রাসীরা নাশকতার কারণে মহাখালীতে আল খাজা টাওয়ার ডেটা সেন্টারে আগুন দিয়েছে। এ কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
আসলে, এই ধরনের বিবৃতি সব মিথ্যা ছিল। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) বলছে, পলকের মৌখিক নির্দেশ এবং সরকার দলীয় লোকজনের হামলার কারণেই বন্ধ করতে হয়েছে ইন্টারনেট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকায় আল খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনী ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করতে যোগ দেয়। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের ইন্টারনেট কিছুটা ধীরগতির হলেও সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়নি। কিন্তু আল খাজা টাওয়ারে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ-আইসিটি, বিটিআরসি এবং খাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ও গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টারের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি, খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। অথচ আইএসপিএবি এবং বিটিআরসি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় চাপিয়েছেন ডেটা সেন্টারের ওপর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইএসপিএবির এক নেতা বলেন, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সকাল থেকেই দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিকেল থেকে আইএসপিদেরও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের জন্য চাপ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে করণীয় নির্ধারণের আগেই নিচে আগুন ধরিয়ে কেবল কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এসব দ্রুতই মেরামত করা হলেও পুনরায় ইন্টারনেট সংযোগ সরকারের নির্দেশ পেলে দিতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নিরুপায় হয়েই সরকারের নির্দেশনা মানতে হয়েছে।
অপরদিকে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে ইন্টারনেট সুবিধাভোগী আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গতকাল সোমবার সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। এর ফলে কোথাও কোথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব কোনো কিছুই ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। এমনকি গতকাল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই দুপুর দুইটার পর থেকে তা ফের চালু হয়।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি
- ঘরে পিঁপড়া: আল্লাহর পক্ষ থেকে ৫টি গোপন বার্তা
- বন্ধ হচ্ছে ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টাকা ফেরত পাবেন
- তৌহিদ আফ্রিদির অজানা কুকর্ম ফাঁস
- ঈদে মিলাদুন্নবী কবে: জানা গেল ছুটির তারিখ
- যেভাবে গ্রেফতার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল বাংলাদেশের খেলা
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না আ.লীগ
- প্রতিদিন আদা খেলে যেসব জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন
- যে কারণে কিছু ফোনে বদলায়নি ডায়াল প্যাড
- মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়
- রাতের মধ্যেই ৯ জেলায় ঝড়, ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত