সেই হাসিনাই ভারতের গলার কাঁটা
নিজস্ব প্রতিবেদক; শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের তালে, আর সেই স্বৈরাচারী শাসন এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতা। অহংকার আর দম্ভের অবসান ঘটেছে, কিন্তু তবুও হাসিনার নাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বারবার উঠে আসছে। কারণ, দিল্লি বসে নেই—একের পর এক গোপন ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে মোদি ও অমিত শাহ, কখনওই শান্তিতে বসে নেই। তাদের হৃদয়ে এক রকমের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, কারণ হাসিনাকে হারানোর বেদনায় তারা বিচলিত। দিল্লির ধোঁয়াশা মাঝে মাঝে কমলেও, মোদি প্রশাসনের হতাশা কমে না। তাদের চোখে ভারতীয় সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র আধিপত্য খোঁজার প্রয়াস এখনও শেষ হয়নি, এবং সেই উদ্দেশ্যেই হয়তো রবি ঠাকুরের “দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়” লাইনটি তারা মেনে চলে, যেন কিছুই স্থায়ী নয়।
হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, এবং ভারত তাকে নিজেদের দেশে রাখতে চাইছে না। ভারতীয় জনমতও এখন হাসিনা বিরোধী। তারা চান না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাক। তবে, নয়া দিল্লির মধ্যে একটা দ্বিধা আছে—অথবা বলা যেতে পারে, "ভেতর থেকে হাসিনাকে বিদায় দিলে বাংলাদেশকে অশান্ত করা যাবে, কিন্তু বাহিরের কৌশলে হাসিনাকে রাখলে কিছু ক্ষতি হতে পারে না"।
ভারত এখন হাসিনাকে একদিকে তাড়াতে চাচ্ছে, আর অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা তৈরি করতে পারছে না। ভারতের সরকারের কাছে এখন একটি আপা কৌশলও রয়েছে। হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, এসব টানাপড়েনের মাঝে মোদি সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। তবে, হাসিনাকে সরকারিভাবে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হবে না, কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী এমন কোনো বিশেষ বিধান নেই।
এতকিছুর পরও, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে মোদি সরকার তাকে বৈধভাবে ভারতে থাকার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে, জাতিসংঘের রিপোর্টের পর যে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে, তা অনেকাংশে এড়ানো যাবে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেতের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, দিল্লি এখন সাপ ও লাঠি দুটোই বাঁচানোর চেষ্টা করছে—একদিকে হাসিনাকে অন্য কোথাও পাঠানোর সুযোগ তৈরি করছে, আর অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপও কিছুটা প্রশমিত করার চেষ্টা করছে।
এভাবেই দিল্লি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে, যেন কোনো দিক থেকে তাদের ক্ষতি না হয়।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল ২০২৬ কার্যকর হচ্ছে: কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত রিপোর্ট: ২০ গ্রেড কমে হচ্ছে ১৩টি, সর্বনিম্ন ৩২ হাজার
- ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন পে স্কেল কার্যকর
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: গ্রেড ১৩ সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- মহার্ঘ ভাতাসহ যা যা আছে নতুন পে স্কেলে
- পে-স্কেল নিয়ে বিশাল বড় সুখবর পেলেন যারা
- অনার্স প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ: এক ক্লিকে দেখুন এখানে
- নবম পে স্কেল: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও ১৩ গ্রেডের প্রস্তাব
- সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট: যা যা আছে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে-স্কেল নিয়ে এলো নতুন ঘোষণা
- নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর খবর কি সত্যি? যা জানা গেল
- বর্তমান বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি: কার কত সম্পদ
