প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা: কারা অংশ নেবে, কীভাবে বাছাই হবে

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও শুরু হচ্ছে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরাই এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
কারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে?
শুরুতে কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের (যেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক একসঙ্গে) শিক্ষার্থীরাই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
কীভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে?
তিন ধরনের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও, পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষা দিতে পারবে না। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে তাদের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা যাবে। অর্থাৎ, ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকলে সর্বোচ্চ ৪০ জন এবং ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলে সর্বোচ্চ ২০ জন পরীক্ষা দিতে পারবে।
৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনামতে, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার (প্রথম প্রান্তিক) ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই করতে হবে। প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফলে যারা মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথম দিকে থাকবে, সেই ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করে তাদের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই নিয়ম মেনে শিক্ষার্থী বাছাই করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্ধারিত ছকের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে হবে।
অধিদপ্তরের বৃত্তি শাখার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নীতিমালা না মানলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যেসব বিষয়ের ওপর বৃত্তি পরীক্ষা হবে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃত্তি পরীক্ষা পাঁচটি বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বর করে এবং দুটি বিষয়কে একসঙ্গে করে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
* বাংলা: ১০০ নম্বর
* ইংরেজি: ১০০ নম্বর
* প্রাথমিক গণিত: ১০০ নম্বর
এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটির পরীক্ষা ভিন্ন ভিন্ন দিনে নেওয়া হবে এবং পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা একদিনে নেওয়া হবে। এই দুটি বিষয়কে একটি ধরে পরীক্ষা হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অংশ থেকে ৫০ নম্বর এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান থেকে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। এই পরীক্ষার জন্যও শিক্ষার্থীরা ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় পাবে।
কবে হতে পারে বৃত্তি পরীক্ষা?
২০২৫ সালের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রাথমিকে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পর বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বৃত্তির পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখও জানিয়েছে: ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর। সেই হিসাবে, ২১ ডিসেম্বর বাংলা, ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই তারিখেই পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
প্রাথমিকের এই বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার স্বীকৃতি এবং উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার কি এই পরীক্ষা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন আছে?
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- প্রশংসার জোয়ারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক
- ১ দিনের ছুটি নিলেই মিলবে টানা ৩ দিনের ছুটি
- পাঁচটি ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
- এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে নতুন নীতিমালা জারি
- স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি লক্ষণ
- অবশেষে বাংলাদেশে চালু হলো ৫জি: যেভাবে ব্যবহার করবেন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- আবারও কমলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
- লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেখুন আজকের দাম
- ঘরে বসে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন সহজে
- ফের বাড়লো সোনার দাম