টিউলিপের কারণেই দেশে আসতে পারছেন না তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মায়ের এমন কঠিন সময়েও তাঁর পুত্র, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান জানিয়েছেন, তাঁর দেশে ফেরা 'পুরোপুরি তাঁর হাতে নেই'। এই না ফেরার পেছনে ঠিক কী কারণ কাজ করছে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা ও বিশ্লেষণ।
নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর প্রভাব
বিএনপি নেতারা তারেক রহমানের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখালেও, বিশ্লেষকদের একটি অংশের মতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতনের পর যে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, তাদের অনেকেই চান না তারেক রহমান ফিরুন। কারণ, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনিই হবেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এবং এতে বর্তমান সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
ব্রিটিশ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আইনি জটিলতা
বিশ্লেষকদের আরেকটি অংশের মতে, এর পেছনে ব্রিটেনের এমপি ও লেবার পার্টির প্রভাবশালী সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের পরোক্ষ প্রভাব থাকতে পারে।
তারেক রহমান বর্তমানে ব্রিটেনের রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। এই রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক না হয়েও প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পান। তবে ব্রিটিশ আইন অনুসারে, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
* স্ট্যাটাস বাতিল: পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে তাঁকে প্রথমে অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) স্ট্যাটাস বাতিল করতে হবে।
* স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা: ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে কারো অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস বাতিল করে না। বিশেষ করে যদি ওই ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা থাকে, তবে প্রক্রিয়াটি আরও কঠিন হয়।
টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনৈতিক প্রভাব
এখানেই টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁর দল লেবার পার্টি বর্তমানে ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন।
যদি কোনো নিরাপত্তা আশ্রয়প্রার্থীর অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস বাতিল করার পর তিনি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েন, তবে তা ব্রিটেনের রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই বাংলাদেশের আদালতে টিউলিপ সিদ্দিকের সাজা হওয়ার ঘটনায় লেবার পার্টি বেশ বেকায়দায় আছে। নতুন করে বিপদ বাড়ার ঝুঁকি তারা নিতে চাইবে না। তাই অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস বাতিলের প্রক্রিয়াটিতে টিউলিপ সিদ্দিকের পরোক্ষ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি: ভিভিআইপি প্রোটোকল
তবে ইতিবাচক খবর হলো, বর্তমানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি প্রোটোকল দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেগম জিয়ার সন্তান হিসেবে তারেক রহমানও দেশে ফিরলে এই প্রোটোকলের আওতায় পড়বেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন, তারেক রহমানের স্ট্যাটাস অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
* নিরাপত্তা বৃদ্ধি: তারেক রহমানের নিরাপত্তা স্ট্যাটাস বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর নিরাপত্তা ঝুঁকি কিছুটা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে, যা ব্রিটেনকে ছাড় দিতে প্রস্তুত করবে।
* পাসপোর্ট প্রস্তুতি: ব্রিটেনের ক্লিয়ারেন্স পেলেই তারেক রহমান পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসও যেকোনো মুহূর্তে তাঁর জন্য পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাস দিতে প্রস্তুত।
ফলস্বরূপ, খুব দ্রুত যেকোনো সময় তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: সর্বনিম্ন বেতন ও গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- পে স্কেল: ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশ! যে গ্রেড ভাঙছে কমিশন
- নবম বেতন কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, সুবিধা শুরু ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
- এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা
- পে স্কেল ডেডলাইন শেষ, কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ে যা বলছে কমিশন
- নবম পে স্কেল: পর্দার আড়ালে উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা, চূড়ান্ত কাঠামো নিয়ে গোপন প্রস্তুতি
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- বিমানবন্দরে তারেক রহমানের ভিডিও, যা জানা গেল
- পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: 'আকাশচুম্বী নয়, বাস্তবসম্মত বেতন কাঠামো'র সুপারিশ
- মধ্যরাতে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ
- আজকের সোনার বাজারদর: ২ ডিসেম্বর ২০২৫
- ব্রাজিল বনাম বাংলাদেশ: লাতিন বাংলা সুপার কাপের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ঘোষণা
- ৭০ সচিবের মতামত চূড়ান্ত: নবম পে-স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে
- পে স্কেলে ৭০ সচিবের চরম ‘বিরোধিতা’; যা জানা গেল
