দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বাংলাদেশে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। গত ২১ নভেম্বর ঢাকা-সহ সারাদেশে স্মরণকালের অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মাউশির পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার কাছে এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "দেশের কয়েকটি জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নলিখিত সতর্কতামূলক দিকনির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হলো।"
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য পালনীয় নির্দেশনা
ভূমিকম্প চলাকালীন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হবে:
১. শান্ত থাকা: আতঙ্কিত বা ভীত না হয়ে শান্ত ও ধীরস্থির থাকতে হবে।
২. নিরাপদ আশ্রয়: ভবনের ভেতরে থাকলে দ্রুত টেবিল বা ডেস্কের নিচে আশ্রয় নিতে হবে এবং মাথা ও ঘাড় রক্ষা করতে হবে।
৩. খোলা জায়গায় যাওয়া: যদি বাইরে থাকেন, তবে অবিলম্বে ভবন, গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটি নেই এমন খোলা ও নিরাপদ স্থানে চলে যান।
৪. লিফট পরিহার: ভূমিকম্প চলাকালীন এবং কম্পন থামার পরেও লিফট ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে।
৫. কলামের গোড়ায় আশ্রয়: পাকা ভবনে থাকলে, কলামের (স্তম্ভের) গোড়ায় বা শক্তিশালী দেওয়ালের পাশে আশ্রয় নিন।
৬. অপেক্ষা করা: ওপরের তলায় থাকলে, কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। লাফ দিয়ে নামার চেষ্টা করবেন না।
৭. দ্রুত নির্গমন: কম্পন বা ঝাঁকুনি থেমে গেলে, সিঁড়ি ব্যবহার করে দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ুন। বের হওয়ার আগে বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের সুইচ বন্ধ করে দিন এবং আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করুন।
৮. ভূমিকম্প-পরবর্তী সতর্কতা: বাইরে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন; কারণ দেওয়াল বা ভবনের অংশ ধসে পড়তে পারে।
৯. জরুরি সরঞ্জাম: ভূমিকম্পের পর ব্যবহারের জন্য পানি, শুকনো খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা কিট (ফার্স্ট এইড) সংগ্রহে রাখুন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন সুরক্ষার ক্ষেত্রে করণীয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাউশি কর্তৃপক্ষকে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে:
১. নিয়মিত পরিদর্শন: বিদ্যালয়ের ভবনগুলো নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে।
২. সংস্কার ও সতর্কতা: চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। সংস্কার সম্ভব না হলে, সেগুলোতে স্পষ্ট সতর্কতা চিহ্ন যুক্ত করতে হবে।
৩. বিকল্প ব্যবস্থা: অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর জন্য বিকল্প ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস চালু করার প্রস্তুতি নিতে হবে।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে বড় পরিবর্তন: ১২ গ্রেড, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার
- বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ৩০ জন
- ফেব্রুয়ারির আগে পে স্কেল সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা যা বললেন
- সূর্য ডোবার পর আর উঠবে না ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত!
- ৩ টি লক্ষণ থাকলে কখনো সন্তান হবে না
- পে স্কেল নিয়ে পে কমিশন থেকে বড় দুঃসংবাদ
- মনোনয়ন বিদ্রোহ: ৪০ আসনে প্রার্থী বদলাচ্ছে বিএনপি!
- নতুন পে স্কেল কার্যকর কবে! বৈঠকে সচিবদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- বাংলাদেশের ভূমিকম্পের রেড জোন যেসব এলাকা
- মুঠোফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা চালু করুন এক ক্লিকে
- সচিবদের সঙ্গে পে কমিশনের বৈঠক শেষ, মিললো সুখবর
- নরসিংদীর মাধবদী যে কারনে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্র হলো
- পে স্কেল নিয়ে সুখবর: জট খুলছে বেতন কাঠামোর
- রাইজিং স্টারস ফাইনাল: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, যেভাবে দেখবেন
- পে-স্কেল: ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বাস্তবায়ন, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার দাবি
