বাংলাদেশ তুর্কি জোট, আধিপত্য হারাচ্ছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ। তবে এই উত্তাপের কেন্দ্রবিন্দু এবার আর পুরনো মিত্র ভারত নয়—বিনির্মিত হচ্ছে এক নতুন কৌশলগত জোট, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও তুরস্ক। আর এখানেই উদ্বেগে ঘুম হারাম ভারতের।
শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক গতিপথ আগের চেয়ে একেবারেই আলাদা। বিশেষ করে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। একসময় হাসিনার আমলেও আঙ্কারার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল, কিন্তু এখন তা একধাপ নয়—বহু ধাপ এগিয়ে গেছে। আর সেটাই ভারতের মাথাব্যথার প্রধান কারণ।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব অধ্যাপক হালুক গুনগুন। তিনি শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎই করবেন না, বরং সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। আলোচনায় থাকবে সামরিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, যৌথ গবেষণা ও বিনিয়োগ। প্রতিরক্ষা খাতকে ঘিরেই এই সফরের মূল এজেন্ডা।
ভারত ইতিমধ্যেই চিন্তিত। তারা জানে, বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে বাইরাকতার টিভি-টু ড্রোন কিনে সীমান্ত নজরদারিতে ব্যবহার করছে। এটা ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক মাস আগেই খবর এসেছে, তুরস্কের সহায়তায় বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে প্রতিরক্ষা নির্মাতা কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন তুরস্ক সফরও করেন। তিনি পরিদর্শন করেন তুরস্কের সরকারি মালিকানাধীন সামরিক কারখানা ‘এম.কে.ই’, যেখানে আলোচনায় উঠে আসে যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা উন্নয়নের বিষয়।
এছাড়া আলোচনায় রয়েছে তুরস্কের তৈরি অটোকার কোম্পানির ‘তুলপার’ সাজোয়াযান ও হালকা ট্যাংক কেনার বিষয়ও।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের মূল উদ্বেগ হচ্ছে—বাংলাদেশ তার পুরনো ছায়া থেকে বেরিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের উপর ভারতের একচ্ছত্র প্রভাব দুর্বল হচ্ছে এবং সেই শূন্যস্থান পূরণে তুরস্ক উঠে আসছে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
তুরস্ক এমনিতেই মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বে আগ্রহী। বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে কৌশলগত অঞ্চলে তার দৃষ্টি এখন স্পষ্ট। আর এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের সঙ্গে শক্ত প্রতিরক্ষা জোট ভারতের জন্য এক বড় কূটনৈতিক ধাক্কা।
বাংলাদেশের নতুন কূটনৈতিক নকশায় এখন আর দিল্লি একক সঙ্গী নয়। আঙ্কারা দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত ঘরানায়। এই পরিবর্তন শুধু ঢাকা নয়, গোটা উপমহাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। ভারত সেটা ভালো করেই বুঝছে।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- নিজের পদত্যাগের সময় জানালেন ড. ইউনূস
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড পরিবর্তন: আগের অবস্থায় ফিরবেন যেভাবে
- ১৬ বছরের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
- ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ ভারত বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখুন
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেন শেখ হাসিনা
- বিপদে পড়ে সুদে টাকা নিলে কি গুনাহ হবে!
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড বদলে গেল কেন, সহজ সমাধান
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ভারত বনাম বাংলাদেশ হাইভোল্টেজ ম্যাচ
- হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি যুক্তরাষ্ট্র, গুজব নাকি সত্য
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়
- এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সম্ভব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড
- কবে সরকার থেকে বিদায় নেবেন ড. ইউনূস, জানালেন নিজেই
- মাউশির নতুন নিয়ম: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন যেভাবে
- আজকের স্বর্ণের দাম (২১ আগস্ট)