বিপিএলে ফাইনাল জিতে সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে যা বললেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম তারকা তামিম ইকবাল সম্প্রতি এক আকস্মিক ঘোষণার মাধ্যমে ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে যেমন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে বেদনা ছড়িয়েছে, তেমনি তাঁর বিদায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক বিশেষ শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং অন্যান্য বড় মঞ্চে তাঁকে আর না দেখতে পাওয়ার দুঃখ সবার মধ্যে বিরাজ করছে। তবে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করে এবং তাঁর অবিস্মরণীয় ক্যারিয়ারের শেষ দিনের এই বিশেষ মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখে।
বিপিএল ২০২৪-এর শিরোপা জয়ের পর, ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল একাধিক মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগকে ছুঁয়ে যান। এ সময়, বিসিবি তাঁকে সম্মানিত করে এবং তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি বিশেষ স্মারক—একটি জার্সি, যাতে ফুটে ওঠে তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অসংখ্য রেকর্ড। বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম আবেগঘন ভাষণে দুটি নামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান—সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ ছাড়া তিনি এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন ভক্তদের।
তামিম বলেন, "কোনো তামিমিয়ান নেই, কোনো সাকিবিয়ান নেই, কোনো মাশরাফিয়ান নেই। এই মুহূর্তে একমাত্র যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো বাংলাদেশ।" তরুণ প্রজন্মের প্রতি তাঁর আহ্বান ছিল, "এ ধরনের ভক্তি বিভাজন আমাদের একত্রিত হতে বাধা দেয়। দয়া করে এসব বন্ধ করুন। এটি আমার শেষ কথা।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আপনি আমার ভক্ত হতে পারেন, সাকিবের ভক্ত হতে পারেন, অথবা মাশরাফির ভক্ত হতে পারেন, তবে যখন বাংলাদেশ খেলে, তখন আপনাকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সমর্থক হতে হবে। আমাদের তরুণ দলকে সমর্থন দিন—তারা ভুল করবে, কিন্তু তাদের পাশে থাকুন। এটা আপনার দল, একসাথে থাকুন।"
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণকারী তামিম ইকবাল দেশের ক্রিকেটে একজন শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত হন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করে ক্যারিয়ারের মাইলফলক স্থাপন করেন। ওয়ানডেতে ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করে এখনও তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মাশরাফি—এই পাঁচজনকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক দেশের ক্রিকেটে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তবে তামিমের বিদায়ের পর তাঁর দেওয়া বার্তা ছিল স্পষ্ট—‘ক্রিকেটে ব্যক্তিগত ভক্তি নয়, আমাদের একত্রিত হয়ে দেশের জন্য সমর্থন করা।’
তামিম ইকবালের বিদায়, তাঁর অসীম সংগ্রামের শেষ অধ্যায় হলেও, তাঁর দেওয়া এই জীবনদর্শন এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা চিরকাল অম্লান থাকবে। 'বাংলাদেশ'—এই এক শব্দেই তাঁর হৃদয়ের চিরস্থায়ী জায়গা, যা তাঁকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আমাদের সবাইকে একত্রিত করবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া