আইপিলের জন্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই করুণ অবস্থা, ম্যাচ জয়ের পর আর যা বললেন মার্কারম

দক্ষিণ আফ্রিকা ও উপমহাদেশের উইকেটের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসাররা ঘরের মাঠের বাউন্স, সুইং এবং পেসের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেন, যেখানে উপমহাদেশে স্পিনারদের ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই কারণে, দক্ষিণ আফ্রিকার দলকে উপমহাদেশে সিরিজ খেলতে গেলে বিশেষভাবে স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ খেলোয়াড়দের নিয়ে আসতে হয়।
সম্প্রতি, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার দক্ষতা অর্জন করেছেন, যার পেছনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) একটি বিশাল অবদান রেখেছে। আইপিএলে খেলার মাধ্যমে তারা উপমহাদেশীয় পিচের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের পারফরম্যান্সে সহায়ক হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক তারকা ক্রিকেটার আইপিএলে বিভিন্ন দলে অংশ নেন। কাগিসো রাবাদা পাঞ্জাব কিংসে, এইডেন মার্করাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদে, এবং ডেভিড মিলার গুজরাট টাইটান্সে খেলেছেন। যদিও, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের একাদশে তাদের মধ্যে মাত্র চারজন খেলেছেন, যা স্পিন-বান্ধব কন্ডিশনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচনের কৌশল নির্দেশ করে।
মার্কারম বলেন, “আইপিএল আমাদের জন্য সত্যিই সহায়ক হয়েছে। আমি মনে করি, উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে থাকতে হয়। আইপিএল একটি লম্বা টুর্নামেন্ট, এবং এতে আমার স্পিনের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যদিও আমরা স্পিনের বিরুদ্ধে ভালো খেলার চেষ্টা করি, কিন্তু সেখানে কন্ডিশন অনেকসময় সেটা করতে দেয় না। তাই এখানে এসে শেখার সুযোগ পাচ্ছি।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে স্বাগতিকরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারেনি। রাবাদা ও উইয়ান মুল্ডারের পেস এবং মহারাজার স্পিনে তারা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায়। বোলিংয়ে তারা ১০৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি তাইজুলরা। কাইল ভেরেইনারের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ২০২ রানের লিড পায়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৭ এবং জাকের আলী অনিকের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৩০৭ রান তোলে।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে পারফর্ম করতে না পারার কারণে অধিনায়ক হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে মার্কারম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাদের কঠিন সময় দিয়েছে এবং মিরাজের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, নতুন বল মোকাবেলা করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তারা গতকাল দারুণ ব্যাটিং করেছে। বল কিছুটা নরম ছিল, এবং উইকেট তুলে নিতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। মেহেদী অসাধারণ খেলেছে, এবং সে সেঞ্চুরিটা ডিজার্ভ করত। বাংলাদেশকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে।”
মার্কারমের কথায় স্পষ্ট, আইপিএলের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে আরও উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে, এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা তাদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!