মৃত্যুর পর ‘চল্লিশা’ খাওয়ানোর প্রথা কি ইসলামসম্মত
নিজস্ব প্রতিবেদন: মৃত্যুর পর শোক পালন এবং মৃতের আত্মার শান্তি কামনার জন্য ইসলামে কিছু নির্দিষ্ট আমলের নির্দেশনা থাকলেও, ‘চল্লিশা’ বা মৃত্যুর ৪০তম দিনে বিশেষ খাবারের আয়োজন করার প্রথার কোনো ধর্মীয় ভিত্তি নেই। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা এই প্রথাকে ‘বিদআত’ বা ইসলামে নব-আবিষ্কৃত রীতি বলে অভিহিত করেছেন।
প্রথাটির উৎপত্তি
প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, 'চল্লিশা' হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিদআতগুলোর মধ্যে একটি। এটি মূলত হিন্দুদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের অনুকরণে মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে, মৃতের জন্য খাবার আয়োজন করলে তার আত্মা স্বর্গে খাবার পায়। এই বিশ্বাস থেকে মুসলিম সমাজে 'চল্লিশা' প্রথা চালু হয়েছে।
ইসলামের সঠিক নির্দেশনা
কোরআনের সুরা আলে ইমরানে (১৮৫) বলা হয়েছে, "প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।" তবে কোনো আয়াতে মৃত্যুর পর নির্দিষ্ট দিন বেঁধে খাওয়ানোর কথা বলা হয়নি। ইসলামের দৃষ্টিতে, মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পৌঁছানোর সর্বোত্তম উপায়গুলো হলো:
* বেশি বেশি দোয়া করা।
* কোরআন পাঠ করা।
* তার নামে দান-সদকা করা।
* মসজিদ, মাদ্রাসা বা কোনো জনহিতকর কাজে অর্থ ব্যয় করা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন, কারও পরিবারে কেউ মারা গেলে প্রতিবেশীরা যেন তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে, কারণ ওই সময়ে তাদের রান্না করার মতো মানসিক অবস্থা থাকে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে চল্লিশা আয়োজন করার কথা তিনি বলেননি।
হাদিসের আলোকে চল্লিশা
হাদিসে হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ আলবাজালী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, "আমরা (সাহাবারা) দাফনের পর মৃতকে কেন্দ্র করে একত্রিত হওয়া ও খাবারের আয়োজন করাকে বিলাপ বলে গণ্য করতাম।" (মুসনাদে আহমদ: ২/২০৪)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, এমন আয়োজন ইসলামের প্রাথমিক যুগে সমর্থনযোগ্য ছিল না।
অতএব, ইসলামি বিধান অনুযায়ী, আড়ম্বরপূর্ণভাবে চল্লিশা বা এমন কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে, যেকোনো দিন তারিখ নির্ধারণ না করে গরিব-মিসকিনদের খাওয়ানো বা দান-সদকা করা যেতে পারে, যা মৃতের জন্য সওয়াবের কারণ হবে।
রাকিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডের কত টাকা বাড়বে? জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: বাড়ছে বেতন, সর্বনিম্ন বৃদ্ধি ৪ হাজার টাকা
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: ১৩ গ্রেড ও ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের সুপারিশ
- তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে নবম পে স্কেল; সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত
- বর্তমান সরকারের আমলে আসছে না নতুন পে-স্কেল: জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে ৩ ধাপে: জানুয়ারিতে শুরু প্রথম ধাপ
- নবম পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার প্রস্তাব
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: রিপোর্টে যা যা আছে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- পে-স্কেল ২০২৬ কার্যকর হচ্ছে: কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- অনার্স প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ: এক ক্লিকে দেখুন এখানে
- ডিসেম্বরেই পে-স্কেল নিয়ে নতুন ঘোষণা!
- নতুন পে স্কেলে মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডের কত টাকা বাড়বে
- পে-স্কেল নিয়ে বিশাল বড় সুখবর পেলেন যারা
