| ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রার্থী বানাতে চায় জামায়াত

২০২৫ জুন ০২ ১২:১১:০৭
শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রার্থী বানাতে চায় জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতি চিরপরিবর্তনশীল এক অঙ্গন। সময়ের চাহিদায় দলগুলো নিতে বাধ্য হয় নতুন নতুন কৌশলগত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ঠিক সে পথেই হাঁটছে।

সদস্য বা সক্রিয় কর্মী ছাড়া কাউকে প্রার্থী না করার দীর্ঘদিনের রীতিনীতির বাইরে গিয়ে এবার বরেণ্য আলেমদের রাজনৈতিক অঙ্গনে আনার চিন্তা করছে দলটি। ইতোমধ্যেই কুষ্টিয়া-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মুফতি আমির হামজা।

বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, জামায়াতে ইসলামীর নীতিনির্ধারকরা আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্বকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন দেশব্যাপী সম্মানিত ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ এমন একজন ইসলামি বক্তা, যিনি সব ধর্ম ও শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি আনসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এমনকি তার কাজে আস্থা রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও দান করেন ফাউন্ডেশনটিতে।

দলের কর্মী ও সমর্থকদের বড় অংশ চাইছে, শায়খ আহমাদুল্লাহকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হোক। সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকা হিসেবে তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর সদর কিংবা বর্তমান কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের কোনো আসন বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূইঁয়ারপল্লী জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভক্তদের মতে, দেশের যেকোনো আসন থেকেই তিনি একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।

তবে বড় প্রশ্ন হলো, শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজেই কি রাজনীতিতে আসতে রাজি হবেন?

প্রসঙ্গত, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার মতে, সাধারণ মানুষের কাতারে থেকেই সমাজসেবা করাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

একবার এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইসলামী গণতন্ত্রের ধারণা কী? এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব কিনা?

জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্র শুধু ভোট নয়, এটি তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে দায়িত্বশীল শাসক নির্বাচনের জন্য পরামর্শ গ্রহণ জায়েজ আছে। খেলাফতে রাশেদার আমলেও এর প্রমাণ রয়েছে। তবে গণতন্ত্র যেভাবে প্রত্যেকের মতকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে, ইসলাম তেমন করে না। ইসলাম বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ব্যক্তির মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বলা হয়—জনগণ যা চাইবে, সেটাই আইন। কিন্তু ইসলামে আল্লাহ যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেটাই চূড়ান্ত আইন। এখানেই গণতন্ত্র ও ইসলামের মাঝে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

ফারুকের রিটের শুনানিতে যে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট

ফারুকের রিটের শুনানিতে যে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন কার্যতালিকা ...

বিসিবি থেকে প্রতিমাসে কত টাকা বেতন নিবেন বুলবুল

বিসিবি থেকে প্রতিমাসে কত টাকা বেতন নিবেন বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ...

ফুটবল

টাইব্রেকারে কাঁদলো বাংলাদেশ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা ভারতের

টাইব্রেকারে কাঁদলো বাংলাদেশ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। অরুণাচল প্রদেশের ইউপিয়ার গোল্ডেন জুবলি স্টেডিয়ামে ...

হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড পেলেন নেইমার

হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড পেলেন নেইমার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও প্রত্যাবর্তনটা ভালো হলো না নেইমারের। ব্রাজিলিয়ান লিগে সান্তোসের হয়ে ...