| ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতের ষড়যন্ত্রেই কি সংস্কারবিহীন নির্বাচনের চেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মে ৩০ ১৬:৫১:৫৬
ভারতের ষড়যন্ত্রেই কি সংস্কারবিহীন নির্বাচনের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর দেশ এক কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। শেখ হাসিনার দমন-পীড়ন, রাতের ভোট, গুম-খুন আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শাসনের পর জনগণের অভ্যুত্থানে উঠে আসে একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্ব পান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শান্তিকর্মী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

ছাত্র-জনতার একত্র দাবিতে, সব রাজনৈতিক পক্ষের সমর্থনে এবং আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও একটি নিরপেক্ষ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর আশায় শুরু হয় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পথচলা। তবে নতুন আশার সূর্য ওঠার আগেই ঘনিয়ে আসে নতুন ষড়যন্ত্রের মেঘ।

শোনা যাচ্ছে, ভারতের নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এখন বাংলাদেশে সংস্কারবিহীন একটি তথাকথিত "গণতান্ত্রিক" নির্বাচন চাইছে। উদ্দেশ্য একটাই—প্রতিনিধিত্বশীল শক্তি গঠনের নামে শেখ হাসিনার মতপন্থী গোষ্ঠীকে আবারও পুনর্বাসনের পথ সুগম করা।

ভারতীয় মিডিয়া ও কূটনৈতিক মহলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে—"অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের ম্যান্ডেট নেই।" অথচ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকার এসেছে জনতার আন্দোলনের ফল হিসেবে, যেখানে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছেন। এটি কোনো বিদেশি চাপ বা গোপন সমঝোতায় আসা চুক্তি নয়।

ড. ইউনুস ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ কেউ নন। বরং তিনিই সেই নেতা যিনি সংকটে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের জন্য। তাই ভারত বা কোনো শক্তির পক্ষে এই সরকারকে "অনির্বাচিত" বলে উপস্থাপন করা কেবল চক্রান্ত নয়—বরং জনগণের রায়ের অবমাননা।

প্রসঙ্গত, যখন শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করতেন, মৃত ভোটারদের দিয়ে নির্বাচন করতেন, বিরোধী নেতাদের কারাগারে পুরতেন—তখন ভারতের মুখে ছিল নিস্তব্ধতা। তখন গণতন্ত্র রক্ষার নামে কোনো বিবৃতি দেয়নি দিল্লি। অথচ এখন সেই দিল্লিই সংস্কারবিহীন নির্বাচনের ডাক দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি বহুমাত্রিক প্রোপাগান্ডা। ভারত চায় তার স্বার্থরক্ষাকারী সরকার আবারো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক, গণতন্ত্র নয়।

এই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি জাপানে আয়োজিত *নিক্কেই ফোরামে* বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি স্পষ্টভাবে জানান—ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংলাপের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনে আরও ৬ মাস সময় বাড়ানো হতে পারে। সর্বোচ্চ আগামী জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন শেষ করা হবে।

তিনি বলেন: “আমি রাজনীতিবিদ নই, আমার কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নেই। আমার একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।”

ড. ইউনুস আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য তাড়াহুড়া নয় বরং প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ নির্বাচন আয়োজনই এখন সবচেয়ে জরুরি। অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি ভোটই হতে হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।

প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গেও তিনি বলেন—এশিয়াকে শূন্য সমষ্টিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামনে এগোতে হবে। তিনি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় দুই দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

সম্মান বাঁচাতে ৩ পরিবর্তন নিয়ে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী একাদশ

সম্মান বাঁচাতে ৩ পরিবর্তন নিয়ে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী একাদশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর নতুন প্রত্যয়ের বার্তা নিয়ে পাকিস্তানে পা রেখেছিল বাংলাদেশ ...

বিসিবি থেকে প্রতিমাসে কত টাকা বেতন নিবেন বুলবুল

বিসিবি থেকে প্রতিমাসে কত টাকা বেতন নিবেন বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ...

ফুটবল

টাইব্রেকারে কাঁদলো বাংলাদেশ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা ভারতের

টাইব্রেকারে কাঁদলো বাংলাদেশ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। অরুণাচল প্রদেশের ইউপিয়ার গোল্ডেন জুবলি স্টেডিয়ামে ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...