ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন, সেই খনিজের সম্ভাব্য মজুদ পাওয়া গেছে বাংলাদেশে। আর এই খবরে বাংলাদেশকে ঘিরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নড়াচড়া। চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে আনতে মরিয়া।
ভৌগোলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আগে থেকেই বৈশ্বিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। আর এখন এই বিরল খনিজ আবিষ্কারের সম্ভাবনা দেশটির গুরুত্বকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রতিবেশী ভারতের কপালে ভাঁজ পড়েছে, কারণ এশিয়ার এই উদীয়মান ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এখন শুধু অর্থনীতি নয়, প্রাকৃতিক সম্পদেও এগিয়ে যাচ্ছে।
অতীতে, বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো অনেক কিছুতেই ভারতের নজর থাকলেও, এখন সেই ভারতই যেন বাংলাদেশের সামনে অসহায় ‘ভেজা বিড়াল’।
এক সময় ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক যখন বিশ্বে আলোড়ন তোলে, তখন বলা হতো বাংলাদেশে ‘সোনার চাষ’ হচ্ছে। আজ সেই সোনার পাশাপাশি আবিষ্কৃত হচ্ছে লিথিয়াম, ইউরেনিয়াম, থোরিয়ামসহ আরও বহু দামী ও বিরল খনিজ—যেগুলোর গুরুত্ব আজকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে অপরিসীম।
বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Apple এর আইফোন তৈরিতে যে বিরল মৃত্তিকা ধাতুর প্রয়োজন, তার অধিকাংশই আসে চীন থেকে। শুধু আইফোন নয়, সামরিক ড্রোন, মিসাইল সিস্টেম, এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরিতে এই খনিজের বিকল্প নেই। অথচ সম্প্রতি, চীন ঘোষণা দিয়েছে যে তারা আর এসব বিরল মৌল রপ্তানি করবে না। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বহু শিপমেন্ট এখন চীনের বন্দরেই আটকে আছে।
চীন থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বিশাল সংকট দেখা দিতে পারে। এই সংকটের বিকল্প উৎস হিসেবে বাংলাদেশ উঠে এসেছে আলোচনায়।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন নদীর বালু ও উপকূলীয় এলাকায় ২০ বছরের গবেষণায় বিরল মৃত্তিকা মৌলসহ দামী খনিজের সন্ধান মিলেছে। যমুনা নদীর বালুতে যেমন মিলেছে ল্যান্থানাইড সিরিজের মৌল, তেমনি ধরলা, তিস্তা, ও মেঘনার বালুতে পাওয়া গেছে স্যামারিয়াম, ইউরেনিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম এবং ডিসপ্রোসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধাতু।
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি বালুতে ৬০ থেকে ১৭৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত এসব মৌল পাওয়া গেছে। এছাড়াও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের পাহাড়ি এলাকার পলিমাটি ও নদীর তলদেশেও তেজস্ক্রিয় ও বিরল ধাতুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত দিক থেকেও বিশ্বে একটি শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করতে পারে। তবে, এর জন্য দরকার সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় কৌশল ও দেশপ্রেমভিত্তিক নীতিমালা।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- প্রশংসার জোয়ারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক
- ১ দিনের ছুটি নিলেই মিলবে টানা ৩ দিনের ছুটি
- পাঁচটি ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
- এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে নতুন নীতিমালা জারি
- স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি লক্ষণ
- অবশেষে বাংলাদেশে চালু হলো ৫জি: যেভাবে ব্যবহার করবেন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- আবারও কমলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
- লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেখুন আজকের দাম
- ঘরে বসে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন সহজে
- ফের বাড়লো সোনার দাম