| ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস; কলকাতায় পলাতক ৪৫ হাজার আ.লীগ কর্মী

২০২৫ মার্চ ১১ ২৩:০৮:৪১
চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস; কলকাতায় পলাতক ৪৫ হাজার আ.লীগ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বলা হচ্ছে, ভারতে প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পলাতক অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষত, ভারতের কলকাতা শহরে তাদের উপস্থিতি নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।

২০১৩ সালের জুলাইয়ে গণনা অভ্যুত্থান এবং তীব্র রাজনৈতিক সংকটের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামিলীগ সরকার ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও ভারত গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে, এর আগ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশের নেতাকর্মী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, সে বিষয়ে ছিলো ধোঁয়াশা। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে তাদের সংখ্যা নিয়ে নানা তথ্য উঠে এলেও, এবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সামনে এসেছে যা পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রদান করেছে।

আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জুলকারনাইন সাঈদ ৫ই আগস্টের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংখ্যা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। সাংবাদিক গৌতম লাহিরী, যিনি দিল্লির প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি, তার সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের অধিকাংশই কলকাতা শহরে আছেন।

এ তথ্য সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারত সরকার কীভাবে এই তথ্যকে গ্রহণ করছে, এবং বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে এটি ব্যবহার করছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিশেষ করে, কলকাতা শহর ও আশপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচরণ দেখার প্রশ্ন উঠেছে।

জুলকারনাইন সাঈদ তার ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে তিনি বলছেন, গৌতম লাহিরী যদি ভুল তথ্য দেন, তবে কী কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু করতে বিরত রয়েছে? তিনি আরও বলেছেন, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি খুবই লক্ষণীয়, যা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, এই বিষয়ে গৌতম লাহিরী দাবি করেছেন যে, ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ভারতে অবস্থান করা, কলকাতার অর্থনীতির ওপর একটি বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিবছর, ১৮ থেকে ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আসেন, এবং তাদের অনেকেই কলকাতা শহরে যান, যা ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শেষে, সাংবাদিক জুলকারনাইন সাঈদ প্রশ্ন রেখেছেন, "এটা কি এক পরিকল্পিত উদ্যোগ, যাতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি দুর্বল করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলা যায়?"

এই বিষয়টি নিয়ে এখনো ব্যাপক আলোচনা চলেছে এবং ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও একটি নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিদ্দিকা/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবিশ্বাস্যভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে

অবিশ্বাস্যভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একসময় সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভেঙে ...

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত অধ্যায়গুলোর একটি—তামিম ইকবালের হঠাৎ আন্তর্জাতিক অবসর। ...

ফুটবল

যেভাবে মৃত্যু হয় জোটা ও তার ভাইয়ের

যেভাবে মৃত্যু হয় জোটা ও তার ভাইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র ১২ দিন আগে প্রেমিকা রুতে কার্দোসোকে বিয়ে করেছিলেন দিয়োগো জোটা। জাতীয় দলকে ...

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতির আঁচ এবার ছড়িয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ...