চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস; কলকাতায় পলাতক ৪৫ হাজার আ.লীগ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বলা হচ্ছে, ভারতে প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পলাতক অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষত, ভারতের কলকাতা শহরে তাদের উপস্থিতি নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে গণনা অভ্যুত্থান এবং তীব্র রাজনৈতিক সংকটের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামিলীগ সরকার ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও ভারত গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে, এর আগ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশের নেতাকর্মী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, সে বিষয়ে ছিলো ধোঁয়াশা। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে তাদের সংখ্যা নিয়ে নানা তথ্য উঠে এলেও, এবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সামনে এসেছে যা পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রদান করেছে।
আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জুলকারনাইন সাঈদ ৫ই আগস্টের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংখ্যা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। সাংবাদিক গৌতম লাহিরী, যিনি দিল্লির প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি, তার সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের অধিকাংশই কলকাতা শহরে আছেন।
এ তথ্য সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারত সরকার কীভাবে এই তথ্যকে গ্রহণ করছে, এবং বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে এটি ব্যবহার করছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিশেষ করে, কলকাতা শহর ও আশপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচরণ দেখার প্রশ্ন উঠেছে।
জুলকারনাইন সাঈদ তার ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে তিনি বলছেন, গৌতম লাহিরী যদি ভুল তথ্য দেন, তবে কী কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু করতে বিরত রয়েছে? তিনি আরও বলেছেন, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি খুবই লক্ষণীয়, যা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, এই বিষয়ে গৌতম লাহিরী দাবি করেছেন যে, ৪৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ভারতে অবস্থান করা, কলকাতার অর্থনীতির ওপর একটি বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিবছর, ১৮ থেকে ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আসেন, এবং তাদের অনেকেই কলকাতা শহরে যান, যা ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শেষে, সাংবাদিক জুলকারনাইন সাঈদ প্রশ্ন রেখেছেন, "এটা কি এক পরিকল্পিত উদ্যোগ, যাতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি দুর্বল করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলা যায়?"
এই বিষয়টি নিয়ে এখনো ব্যাপক আলোচনা চলেছে এবং ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও একটি নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল: সর্বশেষ তথ্য যা পাওয়া গেল
- ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে যে সুখবর পেলেন উমামা
- শেষ হলো ৯০ মিনিটের খেলা: ইকুয়েডর বনাম আর্জেন্টিনা
- ডাকসু নির্বাচনে জয়ী শিবির প্যানেলকে যা বললেন নুর
- পালানোর আগে চিঠিতে যা লিখেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ: বলিভিয়া বনাম ব্রাজিল ম্যাচ
- ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল কখন পাওয়া যাবে জানালেন রিটার্নিং অফিসার
- ভিপি-জিএস দুই পদে কারা বিজয়ী জানালেন ইলিয়াস হোসেন
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- শেষ হল ব্রাজিল বনাম বলিভিয়া ম্যাচ, দেখুন ফলাফল
- মৃত্যুর পর মানুষ কিভাবে বুঝতে পারে সে মারা গেছে
- ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদল ছাড়া কত ভোট বেশি পেলো শিবির
- এই মাত্র শেষ আর্জেন্টিনা বনাম ইকুয়েডর ম্যাচ, দেখুন ফলাফল
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স হচ্ছে ৩৩ বছর
- প্রথমার্ধের খেলা শেষ: ব্রাজিল বনাম বলিভিয়া ম্যাচ