ভারতের চাপে ভেস্তে গেল আওয়ামী লীগের দিল্লি সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে আত্মগোপনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলের রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর চেষ্টা ভারতের অভ্যন্তরেই তীব্র বাধার মুখে পড়েছে। ভারতীয় সরকার ও জনগণের প্রবল বিরোধিতার কারণে দিল্লিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলন শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হয়েছে, যা দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (BHRW)’ নামে একটি কথিত মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা "বাংলাদেশে গণহত্যা" এবং "গোপালগঞ্জে সামরিক নৃশংসতা" নিয়ে বক্তব্য দেবেন।
তবে, অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে আয়োজকরা ঢাকায় একটি বিমান দুর্ঘটনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্মেলনটি স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
কূটনৈতিক সূত্র মতে, এই আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সতর্ক করেন।
বিশেষ করে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্তির আগে এ ধরনের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন এবং সম্মেলনটি স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রকাশের পর ভারতের সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বাংলাদেশে প্রায় ১৪০০ মানুষকে হত্যার জন্য দায়ী শেখ হাসিনাকে কেন ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও মোদী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "খুনিদের আশ্রয় দিয়ে ভারত নিজেই তার নীতি লঙ্ঘন করছে।"
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ একাধিক নেতা গোপনে দিল্লিতে পৌঁছেছেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বিদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা। তবে ভারত সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি সরকার এখন শেখ হাসিনা ও তার দলকে একটি "বোঝা" হিসেবেই দেখছে এবং ভারতের মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির সুযোগ দিতে নারাজ। এই সম্মেলন বাতিল হওয়াকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের একঘরে হয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- এক লাফে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে সয়াবিন
- বেতন অনুযায়ী কে কত পাবেন মহার্ঘ ভাতা
- ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল: সর্বশেষ তথ্য যা পাওয়া গেল
- আগামীকাল ব্রাজিল বনাম বলিভিয়া ম্যাচ: সরকারি যেভাবে দেখবেন
- ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে যে সুখবর পেলেন উমামা
- পালানোর আগে চিঠিতে যা লিখেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
- শেষ হলো ৯০ মিনিটের খেলা: ইকুয়েডর বনাম আর্জেন্টিনা
- ডাকসুর ভোটগণনা চলছে: ফলাফল মিলবে যখন
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ: বলিভিয়া বনাম ব্রাজিল ম্যাচ
- ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল কখন পাওয়া যাবে জানালেন রিটার্নিং অফিসার
- ভিপি-জিএস দুই পদে কারা বিজয়ী জানালেন ইলিয়াস হোসেন
- গোপনে কিডনির নষ্ট হচ্ছে নাতো: জেনে নিন ৬ টি লক্ষন
- দেশের বাজারে নতুন করে বাড়ল সোনার দাম
- ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদল ছাড়া কত ভোট বেশি পেলো শিবির
- আমড়া খাওয়ার ১০ উপকারিতা:, লাখ টাকার ওষুধ ফেল