সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
জামায়াতের বিশাল সমাবেশ: প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণ প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দলীয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ বহু যানবাহন রিজার্ভ করা হয়েছিল এবং পুরো রাজধানী ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়। এমন বিশাল আয়োজনের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, এত বড় সমাবেশ করতে জামায়াতে ইসলামীর কত টাকা খরচ হয়েছিল? অবশেষে এবার জানা গেল জামায়াতের এই ঐতিহাসিক সমাবেশের প্রকৃত খরচের পরিমাণ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন শেখ ফরিদ।
ঐতিহাসিক সমাবেশ ও খরচের জল্পনা
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাতীয় সমাবেশ করে। এই সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক আলোচনা হয় যে, এত বড় সমাবেশ এর আগে শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই নয়, পুরো ঢাকাতেও কোনো দল আয়োজন করতে পারেনি।
জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার বাস ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি লঞ্চ, ট্রেনসহ বহু যানবাহন রিজার্ভ করা হয়। পুরো ঢাকা ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়েছিল। এরপরই সামাজিক মাধ্যমসহ রাজনৈতিক মহলে এই সমাবেশের খরচের পরিমাণ নিয়ে বিস্তর আলোচনার সূত্রপাত হয়। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামীর খরচের পরিমাণ ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আমীরের ঘোষণা: প্রকৃত খরচ কত?
এবার এই বিষয়ে কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। সম্প্রতি রাজধানীতে জামায়াতের রোকন সম্মেলনের একটি ভিডিওতে ডা. শফিকুর রহমানকে বলতে শোনা যায়:
"বড় বড় ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে টাকার বস্তা নিয়ে এসেছেন, পাঁচ তারিখের পরে। যারা এতদিন কেউ আমাদের নাম সহ্য করতে পারত না, কেউ ওপেন প্লেসে গালিগালাজ করেছে, কেউ স্বৈরাচারকে সরাসরি সহযোগিতা করেছে, তারাও কেউ কেউ এসেছেন বিভিন্ন কায়দায় এসেছেন। কিন্তু আমরা ওইদিকে ফিরে তাকাইনি ভাই, আমরা ওইদিকে তাকালে আমাদের রুহানিয়াত ধ্বংস হয়ে যেত।"
ডা. শফিকুর রহমান আরও জানান, এখন কেউ কেউ বিশ্লেষণ করছেন, সমাবেশে নাকি ১০০ কোটি বা ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তিনি রোকনদের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা শুনবেন কত খরচ হয়েছে। অবশ্যই রোকন হিসেবে আপনাদের জানার অধিকার রয়েছে।"
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, "ধারণা ছিল পৌনে তিন কোটির মধ্যে করতে পারব। তবে এটি সাড়ে তিন কোটি পর্যন্ত পৌঁছাবে। এর বেশি নয়। আলহামদুলিল্লাহ। এখন যার যা বিশ্লেষণ করার করতে পারে।"
ডা. শফিকুর রহমান জোর দিয়ে বলেন:
"আমরা যখন নিজেরা ঘুষ খাবো না, যখন চাঁদা দাবি করবো না, যখন আমরা দখলদারিতে যাব না, তখন আশা করি বাকি সকলে বার্তা পেয়ে যাবেন এবং সকলের কান খাড়া হয়ে যাবে।"
এছাড়া সম্মেলনে জামায়াত আমীর আরও জানান, "এত বড় সমাবেশ হয়ে গেল। আমরা কি কোথাও চাঁদা তুলতে বলছি কাউকে? বলি নাই। আমরা নিজেরাও কারো কাছে চাঁদা চাইনি।"
তিনি এই সমাবেশের দুটি মূল কারণ ব্যাখ্যা করেন:
* "একটি হচ্ছে ৫ আগস্টের পর অনেক দল অনেক বড় বড় সমাবেশ করেছে। আমরা অস্থিরতা দেখাইনি। বাংলাদেশের জনগণের দেখার প্রয়োজন ছিল যে জামায়াতে ইসলামী আগামীর জন্য কতটা প্রস্তুত।"
* "এই প্রস্তুতির একটা ছোট্ট নমুনা হচ্ছে এই সমাবেশ। এই সমাবেশ করতে গিয়ে আমরা একেবারে জান কুরবান করে ফেলিনি।"
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত, কোন গ্রেডে কত বাড়ল
- যে মাস থেকে নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি হয়
- সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার করা সহ ১৭ প্রস্তাবে যা আছে
- ২০৫০ সালে এক ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে!
- বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ; কবে, কখন দেখুন
- নতুন পে স্কেলে বাতিল হবে যেসব বড় বড় সুবিধা
- একটু পর মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনা; যেভাবে দেখবেন
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
- মঙ্গলবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- প্রতি ভরিতে কমলো ৮ হাজার টাকা, আজকের দর কত
- বড় পতনের পর আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- দেশের বাজারে আবারও সোনার দামে বড় পতন
- নবম পে-স্কেলে বেতন বাড়ছে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত; অর্থের সংস্থান কীভাবে করবে সরকার
