মালিকানা ছাড়াই বাইক চালাবেন যেভাবে – জানুন আইন
নিজস্ব প্রতিবেদক:মালিকানা পরিবর্তন না করে মোটরসাইকেল চালালে কিছু আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে, তাই এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। মালিকানা পরিবর্তন না করে বাইক চালালে, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইনি ঝামেলা হতে পারে, সেই সাথে কাগজপত্রের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। মালিকানা পরিবর্তন করে বাইক ব্যবহার করাই নিরাপদ। যদি কেউ মালিকানা পরিবর্তন না করেই মোটরসাইকেল চালাতে চান, তবে তাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে: অনেকেই খরচ কমাতে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে মোটরসাইকেল চালান। কিন্তু মনে রাখবেন, এই পদ্ধতি আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
* শহরে চলাচলে বাধা: গ্রামের আশেপাশে বা ছোট শহরে হয়তো মালিকানা পরিবর্তন না করেও মোটরসাইকেল চালানো যায়। কিন্তু বড় শহরে ট্রাফিক পুলিশ আপনার কাগজপত্র পরীক্ষা করতে পারে। স্মার্ট কার্ড বা ট্যাক্স টোকেনে যদি অন্য কারো নাম থাকে, তাহলে আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো অজুহাত দিতে পারেন যে গাড়িটি আপনার চাচা বা ভাইয়ের। কিন্তু এই অজুহাত সবসময় কার্যকর নাও হতে পারে।
* আইনি জটিলতা ও দায়বদ্ধতা: মালিকানা পরিবর্তন না করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা ভোগ করেন বিক্রেতা। গাড়ির মালিকানা তার নামেই থেকে যায়। যদি নতুন ক্রেতা গাড়িটি দিয়ে কোনো অবৈধ কাজ (যেমন: মাদক পাচার বা চোরাচালান) করে, তাহলে আইনি জটিলতা বিক্রেতার ওপরই বর্তাবে। পুলিশি মামলা, ওয়ারেন্ট এমনকি বাড়িতে চিঠিও যেতে পারে। তাই যিনি গাড়ি বিক্রি করছেন, তার উচিত দ্রুত মালিকানা পরিবর্তন সম্পন্ন করা।
* বিক্রির সময় মূল্যহানি: যদি কোনো কারণে আপনি মালিকানা পরিবর্তন না করা একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করতে চান, তাহলে ন্যায্য মূল্য পাবেন না। কারণ ক্রেতা মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে চাইবে এবং অর্ধেক দামে কেনার প্রস্তাব দিতে পারে। এমনকি যদি প্রকৃত মালিক মারা যান বা মালিকানা পরিবর্তন করতে না চান, তাহলে সমস্যা আরও প্রকট হয়।
মালিকানা পরিবর্তনের সুবিধা
মালিকানা পরিবর্তন করে নিলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা পাবেন:
* আপনার নামে গাড়ি: মালিকানা পরিবর্তনের ফলে গাড়িটি আইনগতভাবে আপনার নামে হয়ে যাবে। এর ফলে আপনি ভবিষ্যতে গাড়ি বিক্রি করতে চাইলে ভালো দাম পাবেন এবং কোনো জটিলতা ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন।
* পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি: স্মার্ট কার্ডে আপনার ছবি ও সকল তথ্য থাকায় ট্রাফিক পুলিশ সহজেই আপনাকে ছেড়ে দেবে। এতে রাস্তায় অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়ানো যাবে।
* দ্রুত প্রক্রিয়া: বর্তমানে বিআরটিএ-তে মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ ও দ্রুত হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাংক জমার স্লিপ জমা দিলে একদিনের মধ্যেই একটি স্লিপ পেয়ে যাবেন। এরপর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলে সহজেই স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।
মালিকানা পরিবর্তনের খরচ
মোটরসাইকেলের দামের ওপর ভিত্তি করে মালিকানা পরিবর্তনের খরচ নির্ধারিত হয়। যদিও অনেকেই এই খরচকে বেশি মনে করেন (প্রায় ৪,৯০০ টাকার কাছাকাছি শুধু ব্যাংক জমা), তবে ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা এড়াতে এই খরচ করা বুদ্ধিমানের কাজ। সরকারের উচিত এই খরচ কিছুটা কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা, যাতে আরও বেশি মানুষ সহজেই মালিকানা পরিবর্তন করতে উৎসাহিত হয়।
পরিশেষে বলা যায়, সাময়িক খরচ বাঁচানোর জন্য মালিকানা পরিবর্তন না করা দীর্ঘমেয়াদে আপনার জন্য বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই একটি মোটরসাইকেল কেনার পরপরই মালিকানা পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
