নির্বাচন করতে এনসিপিকে শর্ত বেধে দিল নির্বাচন কমিশন
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠন হয় জুলাই গণবিপ্লবের অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা, এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের এবং ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার সংকল্প ঘোষণা করেছে এনসিপি। তবে, দলটি এখনো নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে এনসিপিকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-তে উল্লেখ রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে চায় এনসিপি। দলটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, দলের প্রতীক, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, স্লোগান, এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় নির্ধারণসহ সব প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করতে চায়, যাতে শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন আবেদন করতে পারে নির্বাচন কমিশনে।
দলটি ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিতে চায় এবং রাজনৈতিক জোট গঠন করার লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত নিবন্ধন আবেদনের জন্য শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী, ইসিতে নিবন্ধিত হতে হলে একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয়, এবং ১০০ উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এছাড়া, দলের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান থাকা প্রয়োজন। যদিও এনসিপি দল ঘোষণার পর এসব শর্ত পূরণের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারেনি।
এনসিপির নেতারা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন আইনকে 'কালো আইন' হিসেবে অভিহিত করছেন। তাদের মতে, ইসির বর্তমান আইন সংস্কার প্রয়োজন। তবে, তারা মনে করেন, এই আইনের আওতায় নিবন্ধন পাওয়া কঠিন হবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব যুগান্তরকে জানান, "আমরা দ্রুতই নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে চাই এবং শর্তগুলো পূরণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।"
নির্বাচন কমিশন জানায়, আরপিওর ধারা ৯০-এ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে। নিবন্ধনের জন্য দলটি একটি আবেদন দাখিল করতে হবে, যার সাথে নির্দিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচন ইশতেহার, দলীয় লোগো ও পতাকার ছবি, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য। এছাড়া, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক আসনে দলীয় প্রার্থীর জন্য সমর্থন ও প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
এনসিপিকে শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন আবেদন করতে হলে, তাদের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর অফিস, ১০০টি উপজেলা বা থানায় কার্যকর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এবং প্রতি উপজেলায় বা থানায় ২০০ ভোটার সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ইসিতে থাকতে হবে, যা বর্তমানে ৪৯টি দল রয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- পে-স্কেল: সনাতনী পদ্ধতির বদলে সিটিজি ও পারফরম্যান্সভিত্তিক বেতন কেন জরুরি
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- আইপিএল ২০২৬: মুস্তাফিজকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- একটু পর মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম সেনেগাল, যেভাবে দেখবেন
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- দেশের বাজারে লাফিয়ে কমলো সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন
- আইপিএল ২০২৬: ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- রাত পোহালেই শেখ হাসিনার মামলার রায়: সর্বশেষ যা জানা গেল
