রোজার আগে পেয়াজের দাম কমতে করতে কত হল
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজে সয়লাব, এতটাই যে অনেক আড়তদারকে ফুটপাতে কিংবা ট্রাক থেকেই বিক্রি করতে হচ্ছে। সরবরাহ বেশি থাকায় পাইকারি দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বিক্রি তেমন জমছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৩৭.৯ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৮.২১ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে, দেশে উৎপাদন চাহিদার চেয়ে ৪-৬ লাখ টন বেশি হলেও প্রতি বছর ৭-৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে যায়। সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হন, ফলে দাম পড়ে যায়। এক কেজি পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণ করতে প্রায় ২০ টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাই অনেক কৃষক ঘরেই সংরক্ষণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
শনিবার ও রবিবার (১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও পাহাড়তলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজও রয়েছে। পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মেহেরপুর থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম আরও কমেছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর একই সময়ে পেঁয়াজের দাম ১০০-১২০ টাকা ছিল। পাইকারি বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা ছয় মাস আগেও ৮০-১০০ টাকা ছিল।
মেসার্স বশর অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী হাজি আবুল বশর বলেন, "বাজারে প্রচুর দেশি পেঁয়াজ রয়েছে, ফলে দাম কম। রমজান সামনে থাকলেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।"
চাক্তাইয়ের এস এন ট্রেডার্সের আলী হোসেন খোকন বলেন, "জোগান বেশি থাকায় পাইকারিতে বেচাকেনা কম। তবে রমজান ঘনিয়ে এলে বিক্রি বাড়তে পারে।"
পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী মো. আজিজ উল্লাহ বলেন, "ছয় মাস আগেও পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা ছিল, এখন ৫০ টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু পেঁয়াজ নয়, রসুন ও আলুর দামও কমেছে।"
সরবরাহ বেশি থাকায় রোজার আগেই পেঁয়াজের দাম নেমে এসেছে স্বাভাবিক পর্যায়ে। যদিও সংরক্ষণ সংকট ও আমদানির কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের লাভ কমছে, তবে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এটি স্বস্তির খবর।
হান্নান/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
