শবে বরাতের আমল সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য যা জানা জরুরি
শবে বরাত, যাকে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শোফের রাত’ও বলা হয়, মুসলিম জাহানে একটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ রাত। এটি শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতে পালন করা হয় এবং রাসুল (সা.) এই রাতে বিশেষ কিছু আমলের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন, তবে অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে স্পষ্টতা দেওয়া জরুরি।
এই রাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও ক্ষমার বন্যা নেমে আসে। হাদিসে রয়েছে, আল্লাহ এই রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি মহান করুণা প্রকাশ করেন এবং অধিকাংশ বান্দাকে ক্ষমা করেন, তবে শর্ত থাকে যে, যারা মুশরিক বা হিংসা ধারণ করে তাদের ক্ষমা করা হয় না। তাই, আমাদের উচিত নিজেদের আচার-আচরণ ও মনোভাব সৎ রাখা এবং আল্লাহর কাছে তওবা করা।
শবে বরাতের রাতে কিছু বিশেষ আমল যেমন নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত এবং তওবা-ইস্তিগফার করা যেতে পারে। তবে, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, হাদিসের মাধ্যমে যে কোনও নির্দিষ্ট নামাজ বা সুরা পড়ার নির্দেশনা আসে না, এবং যে ব্যক্তি এই রাতে বিশেষ রাকাতের নামাজ বা সুরা পড়ার নিয়ম চালু করতে চান, তা শরিয়তসম্মত নয়।
অন্যদিকে, নবীজি শাবান মাসে বেশি রোজা রাখতেন এবং একবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, রমজানের পর সবচেয়ে বড় ফজিলতপূর্ণ রোজা কোনটি? নবীজি উত্তর দিয়েছিলেন, শাবান মাসের রোজা, কারণ রমজান প্রস্তুতির মাস হিসেবে শাবানকে রাখা হয়েছে। এর ফলে, রমজানের রোজার জন্য প্রস্তুতি সহজ হয় এবং রোজা রাখা সহজ হয়।
যেহেতু শাবান মাস রমজানের পূর্ববর্তী মাস, তাই এই মাসে ইবাদত ও আমল করার গুরুত্ব অনেক বেশি। এই মাসে অধিক নফল রোজা রাখা আল্লাহর নিকট বিশেষ ফজিলত অর্জন করতে সাহায্য করে। কিন্তু, শবে বরাতের রাতটি শুধু ক্ষমা প্রাপ্তির রাতই নয়, বরং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকট আরও নিকট যেতে পারি এবং আমাদের পাপের জন্য তওবা করতে পারি।
একইভাবে, শবে বরাতের রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া বা বিশেষ খাবারের আয়োজন করার মতো কোনও ঐতিহ্য বা শরিয়তসম্মত বিধান নেই। এগুলো সাধারণত লোকাচারের অংশ, তবে এর মাধ্যমে ফজিলত বা ইবাদতের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং, ইবাদতের জন্য আমরা কেবল আল্লাহর কাছে ডাকা এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করব।
তবে, শবে বরাতের রাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের ইচ্ছার সুদ্ধতা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আমাদের উচিত, এই রাতে সৎ কাজে মনোনিবেশ করা এবং আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার প্রতি বিশ্বাস রাখা। এই রাতের আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার গুণগান করা, তওবা-ইস্তিগফার ও নফল নামাজ আদায় করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
সবশেষে, মনে রাখতে হবে যে, শবে বরাতের সব আমলই নফল এবং এগুলোর সবচেয়ে ভালো প্রয়োগ হলো একাগ্রচিত্তে, নির্জনে নিজ ঘরে করা।
এই রাতে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের জন্য আমরা নিজেদের মন থেকে তওবা করি, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট হই।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বড় পরিবর্তনের আভাস দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ল
- শনিবার ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব জেলায়
- যেকোনো সময় বাংলাদেশে আরও বড় ভূমিকম্পের আঘাতের পূর্বাভাস
- ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা; উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশেই
- বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ৩০ জন
- ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশের পথে পে-কমিশন
- পে স্কেল কার্যকরের সময় নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে
- বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল: ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন
- নরসিংদীর মাধবদী যে কারনে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্র হলো
- পে স্কেলের ১৫ পৃষ্ঠার সুপারিশ ফেসবুকে ভাইরাল; যা জানা গেল
- বিএনপির প্রার্থী তালিকায় অসন্তোষ: ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত
- তৃণমূলের ক্ষোভে বেকায়দায় বিএনপি: ৩০ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা
- আরও কমলো সোনা-রুপার দাম, ভরি কত
- ঢাকা কাঁপানো ভূমিকম্প নিয়ে চরম সতর্কতা: যেকোনো সময় আরও বড় আঘাতের আশঙ্কা
