ক্ষমতা নিয়েই বাইডেনকে ছুঁড়ে ফেললেন ট্রাম্প, ভারতের কি হবে
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন, তখন পৃথিবী জুড়ে চোখ ছিল তার দিকে। তার প্রত্যাবর্তন ছিল এক নাটকীয় গল্প, এবং শপথ গ্রহণের মুহূর্তে ট্রাম্প যেন নিজেকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করলেন। দুই বাইবেল হাতে শপথ নেওয়ার পর, তিনি একে একে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে সই করতে শুরু করেন। এই আদেশগুলো কার্যত বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসনের নীতির ওপর আঘাত হানে এবং কার্যকরভাবে তা বাতিল করে দেন।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই তিনি যে সিদ্ধান্তগুলো নেন, তাতে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। ক্যাপিটাল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী দেড় হাজারেরও বেশি সমর্থককে ক্ষমা ঘোষণা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা—এই সবই তার নতুন প্রশাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উঠে আসে।
শপথ গ্রহণের দিন, অনেক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক ফার্স্ট লেডি, বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন, বিল ক্লিনটন এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিকরা। এসব উপস্থিতির মধ্যেও ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠান ছিল এক ধরনের পটভূমি, যেখানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের কার্যক্রম।
এছাড়া, ট্রাম্পের প্রথম কার্যক্রমে নতুন মেরুকরণের ঘোষণা আসার পরে, অনেকেই মনে করছেন ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। ট্রাম্পের প্রশাসনের পূর্ববর্তী পদক্ষেপগুলো থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে।
এদিকে, মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও, তিনি আবারও প্রথম লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন। তার শোভাযাত্রা, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং উপস্থিতি নিয়ে এখনও অনেক আলোচনা চলছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর, ট্রাম্প এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি। বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি আদেশ বাতিল করার পাশাপাশি, নিজের নতুন প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলো কার্যকর করার জন্য নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, এবং জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম ভাষণে ট্রাম্প পৃথিবীকে হুমকি দিয়ে জানান, যে কোনো শক্তি আমেরিকার উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ধ্বংস করতে তিনি পিছপা হবেন না। তিনি জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করতে এবং বিশ্বের পরিসরে তার ভূমিকা সম্প্রসারণ করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিশ্ববাসী এখন অপেক্ষা করছে, ট্রাম্পের এই নতুন পদক্ষেপগুলোর প্রভাব কেমন হবে, বিশেষত ভারতের মতো দেশের জন্য।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- পে-স্কেল: সনাতনী পদ্ধতির বদলে সিটিজি ও পারফরম্যান্সভিত্তিক বেতন কেন জরুরি
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- আইপিএল ২০২৬: মুস্তাফিজকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- একটু পর মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম সেনেগাল, যেভাবে দেখবেন
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- দেশের বাজারে লাফিয়ে কমলো সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন
- আইপিএল ২০২৬: ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- রাত পোহালেই শেখ হাসিনার মামলার রায়: সর্বশেষ যা জানা গেল
