বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো লুটের কারিগর ছিলেন শেখ রেহানা

নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো লুটের কারিগর ছিলেন শেখ রেহানা। তাঁর শাসনামলে, শেখ হাসিনা একাধারে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং শেখ রেহানা ছিলেন তাঁর ছায়া প্রধানমন্ত্রী, যার প্রভাব ছিল বিস্তৃত। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা। ২০০০ সাল পরবর্তী তিন বছরে বেসিক ব্যাংকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। এই সময় বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলেও শেখ রেহানার প্রভাবের কারণে বাচ্চু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকগুলোর অনিয়মের পেছনে শেখ রেহানার নামও উঠে এসেছে।
স্বৈরাচারী সরকারের আমলে শেখ রেহানার নাম উচ্চারণ করতে সাহস পেত না কেউ। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, শেখ রেহানা, সালমান এফ রহমান এবং চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের যোগসাজশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সালমান এফ রহমান ও নাফিজ সরাফাতের মাধ্যমে শেখ রেহানার কাছে সুপারিশ পাঠানো হতো। সুপারিশ করলে শেখ হাসিনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ দিতেন। তবে এই নিয়োগের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের ঘুষ দিতে হতো শেখ রেহানাকে। এই ঘুষের টাকা সাধারণত বড় ঋণগ্রহীতা বা কর্পোরেট গ্রুপগুলোর মাধ্যমে পরিশোধ করা হতো, যাতে তাদের ঋণ পাওয়ার পথে কোনও বাধা না আসে।
২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে চেয়ারম্যান, পরিচালক ও এমডি নিয়োগ দেওয়া হয় দলীয় বিবেচনায়। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে কাজী বাহারুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আবুল বারকাত, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে খন্দকার বজলুল হক, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আহমেদ আল কবির, এবং বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু নিয়োগ পেয়েছিলেন। এই ব্যক্তির মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে পরিশোধ হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১,২৫,০০০ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০% ছিল খেলাপি। পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই পরিমাণ আরও বেড়ে ১,৫০,০০০ কোটি টাকার বেশি হয়ে যায়। এর ফলে, পাঁচটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি তীব্রভাবে বেড়ে গেছে। এই দুরবস্থার পেছনে শেখ রেহানা, সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাত চক্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- নির্বাচন নিয়ে সিইসির সম্ভাব্য সময়সূচী
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড, যা জানা গেল
- ধারের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না! জেনে নিন কার্যকর কৌশল
- অবশেষে বিয়ে করছেন সালমান খান
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম কত