পরিস্থিতি থমথমে: ৪ টি বাসে আ*গুন

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তারগাছ এলাকায় শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাসচাপায় এক কারখানার নিরাপত্তা কর্মী মুন্নাফ মালিথা (৪৫), যাঁর নাম ছিল অনন্ত ক্যাজুয়েল, নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী আজমেরী পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের ওপর নিরাপত্তা কর্মী অনন্ত ক্যাজুয়েলকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে, আশপাশের কারখানার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং স্থানীয়রা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে ফায়ার সার্ভিসের কাজেও বাধা দেয়।
গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামাল জানান, "মহাসড়কে বাসচাপায় এক নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যুর খবরে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।"
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, "টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের কাজে বাধা দেয় এবং ইট ছুঁড়ে মারলে তারা কাজ করতে পারেনি। আমরা শুনেছি ২-৩টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।"
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খান জানান, "এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক নিরাপত্তা কর্মী মহাসড়ক অতিক্রম করছিলেন, তখন একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। এরপর উত্তেজিত শ্রমিকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।"
বিক্ষোভের ফলে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের প্রতিরোধের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় গাজীপুর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কাজ করছে, তবে স্থানীয় জনগণের প্রতিবন্ধকতার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে তারা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এটি গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং শোষণ সম্পর্কে এক বড় সংকেত। প্রশাসনের উচিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর তারগাছ এলাকায় স্থানীয় অনন্ত ক্যাজুয়েল গার্মেন্টসের এক নিরাপত্তা কর্মী মহাসড়ক অতিক্রম করছিলেন। এ সময় গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী আজমেরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ওই নিরাপত্তা কর্মীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে খবর ছড়ায়। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের বাধার কারণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ