আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি
-1200x800.jpg)
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ফলে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেম্বার গট্টি এলাকায় সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রফিক মাতুব্বর এবং গট্টি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. আজিজ মোল্যার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রফিকের সমর্থক নুরুল ইসলামের ছেলের সঙ্গে আজিজের সমর্থক মুকুলের মেয়ের ঝগড়া হয়। এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়, এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সকালে রফিকের বাড়ির সামনে সালথা-ফরিদপুর সড়কে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচশতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-কাতরা, টেঁটা, ভেলা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করে, যা সংঘর্ষের আকার বড় করে তোলে।
এই সংঘর্ষের সময় আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় নারী ও শিশুরা নিরাপত্তার খোঁজে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালীন রফিক এবং আজিজের বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালীন ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল, তবে তারা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল। এর ফলে সালথা-ফরিদপুর সড়কে যানবাহন চলাচল ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।
এ ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রফিক মাতুব্বর এবং গট্টি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. আজিজ মোল্যার সঙ্গে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের ফোনও বন্ধ ছিল।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, "কিছু ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমি এবং পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরবর্তীতে সংঘর্ষকারীদের বাড়িতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যেন শান্তি বজায় থাকে।"
এ সংঘর্ষের ঘটনা এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং তারা নিরাপত্তার প্রতি উদ্বিগ্ন। স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- নির্বাচন নিয়ে সিইসির সম্ভাব্য সময়সূচী
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- তিনটি লক্ষণ: যা ইঙ্গিত করে আপনার পথ জাহান্নামের দিকে
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- ধারের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না! জেনে নিন কার্যকর কৌশল
- পায়ের যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস!
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম কত
- বাংলাদেশের স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা তথ্য কি ভারতে পাচার হচ্ছে!
- শ্রীলঙ্কা কোচের মুখে তানজিদ তামিমের প্রশংসা: ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝলক
- গোপালগঞ্জের 'আবু সাঈদগঞ্জ' নামকরণের প্রস্তাব
- বাংলাদেশে আজ সোনার দাম কমেছে
- অবশেষে নির্মম ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সোহাগের স্ত্রী
- গোপালগঞ্জের সহিংসতা: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া
- ৬টি রোগ থাকলেনই বুঝবেন আপনি জান্নাতি