খেলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শান্ত’র এক মন্তব্যে উত্তেজিত হয়ে উঠল পুরো ভারতীয় ক্রিকেট মহল।
-1200x800.jpg)
চেন্নাইয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের প্রতিনিধি থেকে জানা গেল, নতুন একটি সিরিজ মানে সবকিছু নতুনভাবে শুরু হওয়া। আগের সাফল্য কিছুটা আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে, তবে মাঠে সেই পুরনো সাফল্য আর কাজে আসবে না। ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরও আগের এক সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানান এবং সতর্ক করে বলেন, “আমাদের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করতে হবে। তবে ভারতের বিপক্ষে এটি একেবারে নতুন একটি সিরিজ।”
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও তার বক্তব্যে একই কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, “এটা নতুন সিরিজ।" যদিও সবাই জানে, এই নতুন ধারাবাহিক সম্পর্কে বারবার মনে করানোর কারণ একটাই—পাকিস্তানের মাটিতে তাদের দুই টেস্টে জয়ের অসাধারণ সাফল্য। কিন্তু সেই সাফল্যের রেশ এখনো কাটেনি। নাজমুলের প্রতি প্রথম প্রশ্ন ছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে।
রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান ২৭৪ রান করে, আর বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায়। কিন্তু সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে আনে, যা ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দেয়। এবার ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ, এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। ড্রেসিংরুমের আবহ কেমন? নাজমুলের উত্তরে ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাস।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি, যা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। এই নতুন সিরিজেও আমরা ভালো কিছু করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আমরা শুধু প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি, ফলাফল নিয়ে চিন্তা করছি না।”
ভারতের শক্তি ও মাঠের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাজমুল স্বীকার করেন, “ভারতে টেস্ট ম্যাচ জেতা যেকোনো দলের জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমরা সবাই জানি, ভারতের মাটিতে তাদের হারানো সহজ নয়। তবে প্রতিপক্ষের শক্তির চেয়ে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ দেওয়া বেশি জরুরি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবে। পাঁচ দিনের ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য হবে প্রতিটি মুহূর্তে ভালো ক্রিকেট খেলা এবং শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করা।”
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের মাটিতে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে। এবার ভালো করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও খেলার সুযোগ আসবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে নাজমুল উত্তর দেন, “অবশ্যই, যদি আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ আসবে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ, এবং আশা করি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্স দেখে অন্য দলগুলোও আমাদের সঙ্গে খেলতে আগ্রহ দেখাবে।”
নাজমুল আরও বলেন, “আমরা কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করছি না। শুধু নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে মনোযোগ দিচ্ছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ম্যাচের ফলাফল আমাদের পক্ষে যাবে।”
বাংলাদেশ দলের বোলিং শক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে নাজমুল আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “আমাদের পাঁচ-ছয়জন বোলার আছে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে ভালো জায়গায় বল করতে পারবে। আমরা তাদের ওপর ভরসা রাখছি, আশা করি তারা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করবে।”
শান্তর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষকে নিয়ে চিন্তিত নয়। তাদের বিশ্বাস, নিজেদের খেলাটা ঠিকঠাক খেলতে পারলেই ভালো ফল আসবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- কোন পরিমাণ টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- সমবয়সী না ছোট—কাকে বিয়ে করা উত্তম
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- আবারও ছুটি ও বেতন নিয়ে দারুণ সুখবর!
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া