নিয়ম কী বলে, তাহলে কোহলিকে ‘সেঞ্চুরি করাতেই’ ওয়াইড দেননি আম্পায়ার

তাই জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত বিরাট কোহলি। গ্যালারিতে সবার মনে একটাই প্রশ্ন। কেরিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি করতে পারবেন কোহলি? শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেন কোহলি। শেষ বলে ছক্কা মেরে স্টাইলে সেঞ্চুরি করেন কোহলিও। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্পিনার নাসুম আহমেদের একটি ডেলিভারি নিয়ে আলোচনা।
৪২তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাসুম। ওই ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জেতান কোহলি। ওভারের প্রথম বলটি কোহলির লেগ সাইডে বোল্ড করেন এই স্পিনার। এ সময় বল ছেড়ে দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দর্শকদের চোখে এটি একটি ওয়াইড বলের মতো দেখালেও ইংল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা রেফারি রিচার্ড কেটলবরো বলটিকে ওয়াইড ঘোষণা করেননি। তাকে বিপরীত ঠোঁটে হাসির রেখা আঁকতে দেখা যায়।
রান না করেই পরের বলে লং-অফে ঠেলে দেন কোহলি। ওভারের তৃতীয় বলে একটি ছক্কা। ফলে কোহলি সেঞ্চুরি পান, ভারতও তার ব্যাটে জয় পায়। তার আগেও সেঞ্চুরি করার জন্য ম্যাচে একাই খেলছিলেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। ভারতের জয়ের জন্য যেখানে ২৮ রান দরকার, কোহলির সেঞ্চুরি ছুঁতে ২৭ রান দরকার। অন্য ফাইনাল ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল তখন থেকেই নিষ্ক্রিয়। বলতে গেলে তিনি দৌড়ানোর চেষ্টা করেননি। কোহলি একাই খেলেছেন।
ম্যাচ শেষে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে আসেন লোকেশ রাহুল। তিনি বলেছেন যে ম্যাচের এক পর্যায়ে কোহলি তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন যে সেঞ্চুরি করার জন্য একা খেলতে খারাপ লাগে। তবে, রাহুল তাকে বলেছিলেন যে তার চিন্তার কিছু নেই।
অনেক ক্রিকেট ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে কোহলি ও আম্পায়ারের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু রেফারি কোহলিও দেখলেন মুদ্রার অন্য দিক। অনেক ভক্ত প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দুজনকে। বরং তিনি নাসুমকে দোষারোপ করার চেষ্টা করেন। তাদের মতে, বোলার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পথ দেন, তা হবে কোহলির প্রতি অন্যায়।
তবে বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, দলের মধ্যে এটা নিয়ে কথা হয়নি, ওয়াইড ইচ্ছাকৃত ছিল না।
ওয়াইড বলের নিয়ম কি?
ক্রিকেট খেলার শুরু থেকেই পরিবর্তন এসেছে এবং ক্রিকেটারদের প্রতিনিয়ত নতুন নিয়ম মেনে চলতে হয়।মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ক্রিকেটের এই আইন ও বিধি মেনে চলে। ক্লাবের নিয়ম ২২.৪.১-এ, ব্যাটসম্যান আঘাত করার জন্য বলের দিকে এগিয়ে গেলে বা বল থেকে দূরে সরে গেলে আম্পায়ার ওয়াইড বল দিতে পারবেন না। গতকালের ওয়াইড বল দেখে আচমকা অফসাইডের দিকে চলে যান কোহলি। ফলে রেফারি পাশ দিয়ে বল দেননি।
কিন্তু যদিও নিয়মের খাতিরে এটা বলা যেতে পারে, এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে আম্পায়াররা বলটিকে ওয়াইড হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কারণ এটি লেগ স্ট্যাম্প থেকে বেরিয়ে যায়। তাই আলোচনা এত সহজে থামবে না।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!