চরম দুঃসংবাদ: বাড়ি ফেরা আর হলো না প্রাক্তন আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের
রুডি কোর্টজেন কেপ টাউন থেকে পূর্ব কেপ পর্যন্ত গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি সপরিবারে থাকতেন। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
রুডি কোয়ের্টজেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেফারি। তিনি মোট ৩৩১ টি গেম পরিচালনা করেছেন। কোয়ের্তজেন যখন ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন, তখন তিনি সর্বোচ্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার ছিলেন। সেখানে তাকে ধরে ফেলেন পাকিস্তানের আলিম দার। আলীম দার এখনও একজন রেফারি এবং এ পর্যন্ত মোট ৪২০ টি ম্যাচ খেলেছেন।
শুধু সর্বোচ্চ ম্যাচ পরিচালনা করাই নয়- রুডি কোয়ের্তজেন, আলিম দার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টিভ বাকনর- মাত্র এই তিন আম্পায়ারই ১০০’র বেশি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার গৌরব অর্জন করেন।
রুডি কোয়ের্তজেনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আলিম দার বলেন, ‘এই মৃত্যু সর্বপ্রথম তার পরিবার, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি এবং মর্মবেদনার সংবাদ। আমি অনেকগুলো ম্যাচেই তার সঙ্গে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতে দাঁড়িয়েছি। তিনি শুধু একজন দুর্দান্ত আম্পায়ার ছিলেন না, ছিলেন একজন অসাধারণ সহকর্মী। মাঠের মধ্যে ছিলেন সব সময় দারুণ সহযোগী। এমনকি মাঠের বাইরেও তিনি অনেক সহযোগিতা করতেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক আম্পায়ার মারিয়াস এরাসমাস বলেন, ‘শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে এমন এক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন রুডি, যা অতুলনীয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ারদের জন্য তিনিই প্রথম দরজা খুলে ধরতে সক্ষম হন। আমাদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস জন্মিয়েছিলেন যে, এটা সম্ভব। একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি এবং তরুণ আম্পায়ার হিসেবে আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।’
আম্পায়ার হিসেবে ১৯৯২-৯৩ সালে অভিষেক ঘটে কোয়ের্তজেনের। প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেচন পোর্ট এলিজাবেথে। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বের সেরা আম্পায়ারে পরিণত হন এক সময়। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ভারতের মধ্যকার একটি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আসে তার কাছে এবং তিনি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নেন।
২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে থার্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি এবং ওই ম্যাচটি একটি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কারণে আইসিসির পক্ষ থেকে শাস্তিরও শিকার হন কোয়ের্তজেন।
অবসরের পর একটি আত্মজীবনী লিখেন কোয়ের্তজেন। নাম দেন, স্লো ডেথ: মেমোরাইজ অব দ্য ক্রিকেট আম্পায়ার। সেখানে অকপটে ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালসহ বিভিন্ন ম্যাচে যে সব ভুল করেছেন, তা তুলে ধরেন।
সর্বশেষ তিনি ২০১১ সালে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্চার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংসের একটি ম্যাচ পরিচালনা করেন। প্রায় ১৮ বছরের বেশি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি এই অঙ্গন থেকে সরে দাঁড়ান।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ৭০ সচিবের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত হলো নবম পে-স্কেলের রূপরেখা
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ল সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৪,০০০: মহার্ঘ ভাতায় বড় পরিবর্তন
- নবম পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: সর্বনিম্ন বেতন ও গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- পে স্কেল: ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশ! যে গ্রেড ভাঙছে কমিশন
- নবম পে স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে: শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ছে কত
- নবম পে স্কেলে ৩-৪ গুন বেতন বৃদ্ধি না করার প্রস্তাব
- নবম বেতন কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, সুবিধা শুরু ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে
- নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
- পে-স্কেলের সুপারিশ নিয়ে ৭০ সচিবের মতামত চুড়ান্ত: পে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ
- এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা
- পে স্কেল ডেডলাইন শেষ, কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ে যা বলছে কমিশন
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ যা জানা গেল
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, বাংলাদেশ বনাম চীনের ম্যাচ
- বিমানবন্দরে তারেক রহমানের ভিডিও, যা জানা গেল
