তিনটি লক্ষণ: যা ইঙ্গিত করে আপনার পথ জাহান্নামের দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা সবাই জীবনে একবার হলেও ভেবেছি, আমাদের পথ কি জান্নাতের দিকে, নাকি জাহান্নামের দিকে? একজন বিশ্বাসী হিসেবে এই প্রশ্ন আমাদের মনে আসা স্বাভাবিক। পবিত্র কোরআনের সূরা আন'আমের ১০৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এমন কিছু মানুষের কথা বলেছেন, যাদেরকে তিনি জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। প্রশ্ন হলো, কারা এই মানুষগুলো? এবং কীভাবে আমরা নিজেদের চিনতে পারব যে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত কিনা?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজেই তাদের কিছু বিশেষ চিহ্ন বা আলামত উল্লেখ করেছেন। আসুন, সেই লক্ষণগুলো জেনে নিই:
১. সেই হৃদয় যা উপলব্ধি করে না (লাহুম কুলুবুন লা ইয়াফকাহুন বিহা)
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তারা তা দিয়ে অনুধাবন করে না।" এর অর্থ হলো, তাদের একটি হৃদয় থাকলেও তা দিয়ে তারা আল্লাহর অস্তিত্ব, তাঁর নির্দেশাবলী বা নিষেধের কার্যকারিতা উপলব্ধি করতে পারে না। তাদের অন্তর আল্লাহর ভয় লালন করে না, শিক্ষা গ্রহণ করে না। তারা স্রষ্টার নিদর্শনগুলো দেখেও তা থেকে কোনো শিক্ষা নেয় না। তাদের কাছে অন্তর আছে, কিন্তু সেই উপলব্ধি শক্তি নেই যা তাদের আল্লাহর দিকে পরিচালিত করবে।
২. সেই চোখ যা দেখেও অন্ধ (ওয়া লাহুম আ'য়ুনুন লা ইউবসিরুন বিহা)
আল্লাহ আরও বলেন, "তাদের চোখ আছে, কিন্তু তারা তা দিয়ে দেখে না।" এই দেখা সাধারণ দেখা নয়। এই চোখ আল্লাহর কালাম দেখে না, তাঁর কুদরত দেখে না। যে দেখার মাধ্যমে তাদের জীবনের মোড় ঘুরতে পারত, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস জন্মাতো, সেই দৃষ্টি তাদের নেই। তারা চারপাশে আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন দেখেও সেগুলোকে দেখেও না দেখার ভান করে। তাদের চোখ আছে, কিন্তু সেই চোখ আল্লাহর পথে চলার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেখে না।
৩. সেই কান যা শুনেও বধির (ওয়া লাহুম আযানুন লা ইয়াসমাউন বিহা)
তৃতীয়ত, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "তাদের কান আছে, কিন্তু তারা তা দিয়ে শোনে না।" এর মানে হলো, তারা আল্লাহর কথা, তাঁর নবীর (সা.) সুন্নাহ বা বাণী শোনার চেষ্টা করে না। ওয়াজ, নসিহত বা আলোচনা শুনেও তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসে না। তাদের কান আছে, কিন্তু সেই কানে আল্লাহর নির্দেশ বা সতর্কবাণী প্রবেশ করে না। পাথরের মতো হৃদয় নিয়ে তারা আল্লাহর বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে চলে।
যদি আমাদের মাঝে এই লক্ষণগুলো বিদ্যমান থাকে – অর্থাৎ অন্তর উপলব্ধিহীন, চোখ অন্ধ এবং কান বধির হয়ে থাকে – তবে এটি একটি দুঃসংবাদ। আল্লাহ তায়ালা এই শ্রেণীর মানুষদের চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও বেশি পথভ্রষ্ট বলেছেন। কারণ চতুষ্পদ জন্তু তাদের সহজাত প্রবৃত্তি অনুসরণ করে, কিন্তু এই মানুষগুলো তাদের দেওয়া বিবেক-বুদ্ধি ও অনুধাবন শক্তি ব্যবহার করে না।
আসুন, আমরা নিজেদের অন্তরকে আল্লাহর স্মরণে বিগলিত করি। আল্লাহর ভয়ে আমাদের হৃদয় যেন নরম হয়, তাঁর কথা শুনে যেন আমাদের জীবনে পরিবর্তন আসে। মৃত্যুর আগে আমাদের অন্তর যেন এতটাই কোমল হয়ে যায় যে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি আমরা দ্রুত সাড়া দিই। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের অন্তরকে বিনম্র করে দেন এবং জাহান্নামের ভয় আমাদের হৃদয়ে এমনভাবে প্রবেশ করিয়ে দেন, যাতে আমরা জান্নাতের পথে চলতে পারি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- নির্বাচন নিয়ে সিইসির সম্ভাব্য সময়সূচী
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- ধারের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না! জেনে নিন কার্যকর কৌশল
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম কত
- পায়ের যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস!
- বাংলাদেশের স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা তথ্য কি ভারতে পাচার হচ্ছে!
- শ্রীলঙ্কা কোচের মুখে তানজিদ তামিমের প্রশংসা: ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝলক
- গোপালগঞ্জের 'আবু সাঈদগঞ্জ' নামকরণের প্রস্তাব
- বাংলাদেশে আজ সোনার দাম কমেছে
- অবশেষে নির্মম ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সোহাগের স্ত্রী
- ৬টি রোগ থাকলেনই বুঝবেন আপনি জান্নাতি
- সারা দেশে ১০ দিনের ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা!