মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে—মৃত্যুর পর কি ভাইবোনের আর দেখা হবে না? এমন কথার ভিত্তি ইসলামী শরিয়তে নেই। ইসলাম অনুসারে, নেককাররা জান্নাতে একত্র হবে। ভাইবোনও যদি জান্নাতে যায়, তবে সেখানে সাক্ষাৎ হবে ইনশাআল্লাহ।
নামাজরত অবস্থায় যদি কোনো নেতিবাচক চিন্তা আসে, তবে তাতে নামাজ বাতিল হয় না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ চিন্তা করলে গুনাহ হয়, নামাজ নষ্ট না হলেও খুশু নষ্ট হতে পারে।
ওযু অবস্থায় সন্তানকে দুধ খাওয়ালে ওযু ভঙ্গ হয় না। কারণ দুধ দেহ থেকে বের হলেও তা অপবিত্র নয়। ফলে তা ওযুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
ধৈর্য বাড়ানোর জন্য ধৈর্যশীলদের সংস্পর্শে আসা, সবরের জন্য দোয়া করা এবং নিজেকে প্রশিক্ষিত করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা নিজেই কোরআনে দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন: "রَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا"।
কেউ যদি কবিরা গুনাহ করে এবং আবারও বারবার তওবা করে, তবে বুঝতে হবে তার তওবা দুর্বল। প্রতিবার তওবাকে আগেরবারের তুলনায় দৃঢ় করতে হবে। আল্লাহ বারবার তওবা কবুল করেন, তবে বান্দাকে নিজের তওবার আন্তরিকতা বাড়াতে হবে।
স্ত্রীকে যদি স্বামী বলেন, ‘তোমার রাগ বা স্বভাব আমার মায়ের মতো’, তাহলে সেটি ‘জিহার’ নয়। কারণ এটি স্ত্রীকে সম্পূর্ণভাবে মা বা হারাম ঘোষণা করার বক্তব্য নয়।
লুডু খেলা হারাম না হলেও অপছন্দনীয় (মাকরূহ)। এতে সময় অপচয় হয় এবং শরীয়তে অনুমোদিত শারীরিক কসরতের খেলাধুলা নয়।
সন্তান না হলে চিকিৎসা নেয়া বা ওষুধ খাওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ, যদি তাতে হারাম কিছু না থাকে বা পর্দা লঙ্ঘন না হয়।
দাঁড়ি না রাখা ব্যক্তি মুসলিম হলে তাকেও সালাম দেওয়া জায়েজ। নবীজি বলেছেন, “তুমি চেনো বা না চেনো—প্রত্যেককে সালাম দাও।”
মৃত্যুশয্যায় কাউকে তওবা শেখানো বা দোয়া করানো শরিয়তসম্মত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও মৃত্যুশয্যায় ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়েছেন। তবে মৃত্যুর শেষ মুহূর্তে (যখন আত্মা গলার কাছাকাছি) তওবা আর কবুল হয় না।
জন্মদিনে বিয়ে করা কোনো কুসংস্কার নয়। এ নিয়ে মুরব্বিদের বক্তব্য ভিত্তিহীন। শরিয়তে নির্দিষ্ট কোনো দিনে বিয়ের বিধিনিষেধ নেই।
ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে সুপারিশ গ্রহণ করা তখনই বৈধ, যখন তাতে অন্যের হক ক্ষুণ্ন না হয়। সিরিয়ালের ভিড়ে কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।
বাবড়ি চুল রাখা ইসলামে বৈধ। নির্দিষ্ট কোনো বয়সের শর্ত নেই। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যদি ফিতনার শঙ্কা থাকে, তাহলে তা এড়িয়ে চলাই উত্তম।
স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ইসলাম চায়। তবে যদি তাদের সঙ্গে মেলামেশা কষ্টদায়ক হয়, তাহলে সীমিত যোগাযোগ বৈধ। স্বামী-সংসার রক্ষার স্বার্থে সহনশীলতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
সবশেষে, হিংসা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে যার প্রতি হিংসা হয় তার জন্য দোয়া করা এবং আল্লাহর কাছে অন্তরের রোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনা করাই উত্তম পথ।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- ট্রাম্পের হুমকির পর অবিশ্বাস্য এক ঘোষণা দিলেন খামেনি
- ৭টি অভ্যাস আপনাকে কখনোই ধনী হতে দেবে না!
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার
- এবার ইসরায়েল খালি করার নির্দেশ
- যে কারনে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প