নবীজির চোখে ১৫ শ্রেণির মানুষ বড়ই কপালপোড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু হাদীসে এমন কিছু মানুষের কথা বলেছেন, যাদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন: “লাইসা মিন্না” — অর্থাৎ “সে আমার উম্মত নয়”, “সে আমার কেউ নয়”।
এই বক্তব্য শুনে যেন কেউ ভুল না বোঝেন — এর মানে এই নয় যে তারা ইসলাম থেকে খারিজ, কাফের হয়ে গেছে। বরং হাদীস বিশারদগণ বলেন, এই ধরণের কঠোর উচ্চারণ নবীজী করতেন সতর্ক করার জন্য, যাতে আমরা এসব কাজ থেকে বিরত থাকি।
ঠিক যেমন বাবা-মা কখনো রাগ করে সন্তানকে বলেন, “তুই আমার ছেলে না”, কিন্তু এর মানে সন্তানত্ব খারিজ নয় — বরং অভিমান ও সংশোধনের বার্তা। ঠিক তেমনই রাসূল (সা.) এর এই কথাগুলো ভয়ভীতি ও সংশোধনের আহ্বান।
আসুন, আজ আমরা জেনে নিই এমনই ১৫ শ্রেণির মানুষের কথা, যাদের সম্পর্কে নবীজী (সা.) বলেছেন, “তারা আমার উম্মত নয়”—
১. বিপদে ধৈর্যহীন ব্যক্তি
যারা শোকের সময় চিৎকার করে, জামা ছিঁড়ে, গাল বা বুক চাপড়ায়—তাদের আচরণ ইসলামের বিরুদ্ধ।
২. সংসারবিমুখ সন্ন্যাসী
যারা আল্লাহর ইবাদতে আত্মনিয়োগের অজুহাতে বিয়ে-সংসার ত্যাগ করে, তারা রাসূলের আদর্শের বিরোধিতা করে।
৩. জালিম শাসকের তোষামদকারী
যারা অন্যায়কারী শাসকের প্রশংসা করে এবং তার পক্ষে মিথ্যা প্রচার চালায়।
৪. প্রতারক ব্যবসায়ী
যারা পণ্য বিক্রির সময় ওজনে কম দেয় বা ভেজাল মিশিয়ে প্রতারণা করে।
৫. গণক বা জ্যোতিষে বিশ্বাসী
যারা ভাগ্য গণনা বা রাশিচক্রে বিশ্বাস করে এবং সেসবের ওপর নির্ভর করে।
৬. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া ব্যক্তি
যে নিজের প্রতিবেশীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বা তাকে অসুবিধায় ফেলে।
৭. মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারী
যে ব্যক্তি মুসলমান ভাইয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়, সে ইসলামের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে চলে।
৮. স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী
যে নারী স্বামীর ন্যায্য নির্দেশ অমান্য করে এবং সংসারে অবাধ্য আচরণ করে।
৯. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী
যারা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধ করে দেয় বা সম্পর্ক রক্ষা করে না।
১০. অহংকারী ও দাম্ভিক
যারা কথাবার্তায় গর্ব করে এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে পছন্দ করে।
১১. ছোটদের স্নেহ না করা, বড়দের সম্মান না করা
যে শিশুদের প্রতি স্নেহ দেখায় না এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করে না, তার চরিত্রে ইসলাম নেই।
১২. সুন্নাহ বিরোধী ব্যক্তি
যারা রাসূলের দেখানো পথ থেকে সরে গিয়ে নিজের মনগড়া পথে চলে।
১৩. ব্যভিচারী
যারা বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
১৪. সুদ ও হারাম উপার্জনকারী
যারা সুদ, ঘুষ বা অন্য হারাম পন্থায় অর্থ উপার্জন করে।
১৫. সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে
যে ব্যক্তি মুসলিম সমাজে ফেতনা, বিদ্বেষ ও বিভাজন সৃষ্টি করে।
এই তালিকাটি কোনো সাধারণ মানুষের নয়—বরং নবীজির (সা.) সরাসরি ঘোষণা। ইসলামের দৃষ্টিতে এসব গুনাহ এমন ভয়াবহ, যা ব্যক্তিকে রাসূলের (সা.) ভালোবাসা ও সুপারিশ থেকে বঞ্চিত করতে পারে। তাই প্রতিটি সচেতন মুসলমানের উচিত—এই কাজগুলো থেকে দূরে থাকা এবং পরিবার-সমাজকেও সতর্ক করা।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১২ দেশের নাগরিকদের আজীবন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- আবদুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- চরম রসালো ১০ ভারতীয় ওয়েব সিরিজ, যা একবার হলেও দেখা উচিত
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- ঈদের পর পেঁয়াজ নিয়ে বড় সুখবর
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- আজ দেশের বাজারে ১ ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ