তিন মাসে তিন সপ্তাহ ঢাকায় ছিলেন, অনলাইনে তথ্য নিয়ে ও কোচিং স্টাফের তথ্য নিয়ে দলে ডাকেন

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হার যেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মন ভেঙে দিল। ঘরের মাঠে জয় প্রত্যাশিত ছিল, অথচ ১-২ গোলে হার মানতে হয়েছে। এই হারের দায় স্পষ্টভাবে বর্তেছে স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার কাঁধে। সাবেক তারকা ফুটবলার ও দেশের শীর্ষ কোচরা প্রশ্ন তুলেছেন কোচের কৌশল, খেলোয়াড় নির্বাচন এবং পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও স্পষ্টভাষী জাহিদ হাসান এমিলি বলেন,
“সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য আমাদের ছিল। কিন্তু কোচের ভুল কৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে হারতে হয়েছে। রাকিব যিনি গোল করেছেন, তাকেই রাইটব্যাকে খেলানো হয়েছে—এটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।"
তাঁর মতে, কোচ শুরু থেকেই জয়ের মনোভাব দেখাতে পারেননি। গোল হজমের পর রক্ষণভাগ এলোমেলো হয়ে পড়ে, আর ফরোয়ার্ডদের ভুল পজিশনে খেলানোর সিদ্ধান্ত পুরো পরিকল্পনার অভাব দেখায়।
দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুও বিস্মিত এই অদ্ভুত কৌশলে,
“একজন ফরোয়ার্ডকে রাইটব্যাকে খেলানো কোন যুক্তিতে সম্ভব? শুরু থেকে দলের মধ্যে কোনো কৌশলগত ছাপ ছিল না। এটা ছিল দৃষ্টিকটূ।"
কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা সামিত সোমের অভিষেক হলেও, তাঁর দারুণ পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ? প্রকৃত স্ট্রাইকার না থাকা। এমিলি বললেন,
“সুমন রেজা ও আল আমিনের মতো অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার থাকা সত্ত্বেও কোচ তাঁদের শুরু থেকে ব্যবহার করেননি। গোলের ১০ মিনিট পর আল আমিনকে নামিয়ে আবার রাকিবকে রাইটব্যাকে খেলানো হয়। সব কিছুই এলোমেলো।”
মিন্টুও এতে একমত হয়ে বলেন,
“সামিত কার্যকর খেলোয়াড়, কিন্তু তাঁর বল পৌঁছানো নিয়ে কোনও পরিকল্পনাই ছিল না।”
আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির খেলা দেখেছেন স্টেডিয়ামে। তাঁর পর্যবেক্ষণ,
“সিঙ্গাপুর বড় দল নয়। আমাদের মধ্যে স্পষ্ট সমন্বয়হীনতা ছিল। এটা কোচের দায়।”
দলে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়ার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলেও, কোচ তাঁকে মাঠে নামাননি। এমিলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“দ্বিতীয়ার্ধে ১০টি কর্নার পেয়েছি। জামাল স্পট কিকে সবচেয়ে ভালো। তবু তাঁকে নামানো হয়নি, যা একেবারেই অযৌক্তিক।”
মোহামেডানের বর্তমান কোচ ও সাবেক তারকা আলফাজ আহমেদ আরও বলেন,
“ভুটানের বিপক্ষে ভালো খেলা তাজউদ্দিনকেও নামানো হয়নি। অথচ তাঁকে রাইটব্যাকে খেলালে রক্ষণভাগে ভারসাম্য থাকত।"
এমিলিও বলেন,
“সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার শাকিল তপুকে রাইটব্যাকে খেলানো হয়েছে, মিডফিল্ডার কাজেমকে খেলানো হয়েছে রাইট উইংয়ে—ফলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পজিশনে অনভ্যস্ত থেকে খারাপ খেলেছে।”
বাংলাদেশ দুইটি গোল হজম করেছে, এবং দুটিতেই গোলরক্ষক মিতুল ও রক্ষণভাগের ভুল ছিল স্পষ্ট।
“দুই গোলেই মিতুল সঠিকভাবে বল ধরতে পারেননি। এরপরও রক্ষণের হাতে সময় ছিল, কিন্তু কাভার করতে পারেনি। দ্বিতীয় গোলের সময় সাদ উদ্দিন প্রায় দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন,”— বলেন এমিলি।
এই সাদ উদ্দিনই সম্প্রতি ঘরোয়া লিগে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই শাস্তি কমিয়ে জাতীয় দলে ডাকা হয়—যা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।
এই ম্যাচের পর ফুটবল মহলে প্রশ্ন উঠেছে—আসন্ন অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে রেখে দল কী আদৌ ভালো কিছু করতে পারবে? বহুদিন ধরেই তাঁর কৌশল, দল নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা চলছে। এখন সময় এসেছে ফেডারেশনের নতুন করে ভাবনার।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১২ দেশের নাগরিকদের আজীবন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- আবদুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আজ দেশের বাজারে ১ ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশে